নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার নয়াগাঁও শ্মশান ঘাটের পাশে গাছের নিচে অজ্ঞাত গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকা উদ্ধারকৃত সেই নারীর পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।স্থানীয়দের মতে, মৃত ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। পরে পিবিআই ফিংগার প্রিন্ট সংগ্রহ করে তাঁর পরিচয় শনাক্ত করে।
পরিচয়ের সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর নাম রাজুনা বেগম তার বয়স আনুমানিক ৭০ বছর। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার ভাটি মামুদনগর এলাকার মারফত মুন্সীর মেয়ে।
আরো পড়ুন :
> বেড়ায় দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে মানববন্ধন
> কালীগঞ্জে রাখালগাছী ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা
আজ (২৯ মে) সোমবার দুপুরে নেত্রকোনা পিবিআইয়ের পরিদর্শক অভিরঞ্জন দেব এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পিবিআই জানায়, উপজেলার নগর ইউনিয়নের নয়াগাঁও শ্মশান ঘাটের পাশে অজ্ঞানামা নারীর ক্ষত-বিক্ষত লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবিরের নির্দেশনায় পরিদর্শক ইমদাদুল বাশারের নেতৃত্বে একটি ক্রাইমসিন টিম রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শণে গিয়ে দেখেন আনুমানিক ৭০ বছর বয়সী এক নারীর মৃতদেহ পরে আছে যার নাকে, মুখে ও কানে ধারালো অস্ত্রের কোপের দাগ রয়েছে।
পিবিআই আরও জানায়, কোপে নাক কেটে ঝুলে আছে এবং গলাকাটা অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয় লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় পিবিআই ফিংগার প্রিন্ট সংগ্রহ করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নিহতের পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। খুনের রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত করছে পিবিআই ছায়া।
খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার বলেন, নিহতের পরিবারের লোকজনকে মর্গে লাশ শনাক্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তারা ফিরে আসার পর এ হত্যার ঘটনায় মামলা নেওয়া হবে। দ্রুত এ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।
মে ২৯, ২০২৩ at ১৯:২১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/রিকাগু/ইর