নতুন তিন রেকর্ড কিপার : থেমে নেই সাব রেজিস্ট্রার ইমরুলের ঘুষ বাণিজ্য

অবশেষে কিছুটা রাহুমুক্ত হলো যশোর রেজিস্ট্রি অফিসের মহাফেজ খানা। জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেব দুর্নীতিবাজদের সরিয়ে তিনজন রেকর্ড কিপার নিয়োগ দিয়েছেন। তবে মহাফেজ খানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমরুল হাসানের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ হয়নি। তিনি বহাল তবিয়াতে ঘুষ-দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যশোর রেজিস্ট্রি অফিসের মহাফেজ খানায় দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি চলে আসছে। বিশেষ করে সদর সাব রেজিস্ট্রার ইমরুল হাসান যোগদানের পর থেকে এখানে দুর্নীতির মহাউৎসব শুরু হয়। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রকাশও হয়। কিন্তু দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্ট্রার ইমরুল হাসান উপরি আয়ের জন্য তার পচ্ছন্দ সই লোক নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করতে থাকেন। বর্তমান জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেব যোগদানের পর থেকে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য কাজ করতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় মহাফেজ খানার দুর্নীতিবাজ রেকর্ড কিপার ভৈরব চক্রবর্তীকে সরিয়ে জেলা অফিসে সংযুক্ত করেন। সেই সাথে ভৈরবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেন। গত ২৬ সেপ্টম্বর ৬১৫ (৬) নং স্মারকে তিনজন রেকর্ড কিপার নিয়োগ দেন। তারা হলেন শার্শা সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের অফিস সহকারী অসিম কুমার হালদারকে রোব ও সোমবার মহাফেজ খানার রেকর্ড কিপার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাঘারপাড়া সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের অফিস সহকারী প্রভাষ কুমার দত্তকে মঙ্গলবার এবং কেশবপুর সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের অফিস সহকারী শেখর চন্দ্র দে’কে বুধ ও বৃহস্পতিবার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই পত্রে আরো বলা হয়েছে, চলতি বছরের ২৫ মে ৩৩৫ (৫) নং স্মারকে পেষণে কর্মরত কর্মচারিদেরকে তাদের দায়িত্ব বন্টন ও কর্ম সম্পর্কে নিয়মিত তদারকি করতে সদর সাব রেজিস্ট্রার ইমরুল হাসানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইমরুল হাসান তার অবৈধ আয় বজায় রাখার স্বার্থে এতদিন ধরে জেলা রেজিস্ট্রারের ওই চিঠি অমাণ্য করে চলেছেন। তিনি রেকর্ড কিপার ভৈরব চক্রবর্তী ও নকল নবিশ নূর নবীকে দিয়ে মহাফেজ খানা পরিচালনা করে এসেছেন। ভৈরব চক্রবর্তী ও নকল নবিশ নূর নবীকে দিয়ে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন ইমরুল হাসান। ওই পত্রে বাঘারপাড়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মোহরার মনিরুল ইসলাম ও নওয়াপাড়া অফিসের বিপ্লব সরকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে এত কিছুর পরও সাব রেজিস্ট্রার ইমরুল হাসান নকল নবিশ নূর নবীকে বহাল তবিয়াতে রেখেছেন।
সূত্র জানায়, সাব রেজিস্ট্রার ইমরুল হাসান অবৈধ টাকা আয় করার জন্য এখনো পর্যন্ত অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। ২৪ সেপ্টম্বর ঝিকরগাছার বহিরামপুর মৌজার ১৯৮৮ সালের ২৭৬১ নং দলিল টেম্পারিং করেছেন। আর এই কাজে ইমরুল হাসান এক নকল নবিশকে ব্যবহার করেছেন। এতে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ইমরুল হাসান।

দেশদর্পণ/সুশা/বিএফা/ইর