একটি আমের দাম ২৪,৭৩৫ টাকা!

একটি আমের দাম ২৪ হাজার ৭৩৫ টাকা। জাপানের হিরোউকি নাকাগাওয়া আমটি বিক্রি করেন ২৩০ ডলারে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৪,৭৩৫ টাকা। এর মধ্য দিয়ে তার উৎপাদিত আম বিশ্বের সবচেয়ে দামী আমে পরিণত হয়েছে।

একটি আমের এত বেশি দাম হবার কারণ কি? এই প্রশ্নের উত্তরে একটি খবর প্রকাশ করেছে ব্লুমবার্গ।

এতে বলা হয়েছে, হিরোউকি নাকাগাওয়ার বসবাস হোক্কাইডো দ্বীপে। সেখানকার ওটোফুকে খামারে তিনি বিশেষ ব্যবস্থায় এই আম ফলান। ডিসেম্বরের প্রথমদিকে যখন বাইরে তাপমাত্রা মাইনাস আট ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সবকিছু জমে বরফ হয়ে যায়, তখন তিনি গ্রিনহাউজের ভিতর এই আম চাষ করেন।

হিরোউকি নাকাগাওয়ার বয়স এখন ৬২ বছর। এর আগে তিনি একটি পেট্রোলিয়াম বিষয়ক কোম্পানি পরিচালনা করতেন। তিনি বলেন, এই আম উৎপাদনের শুরুর দিকে কেউই আমাকে গুরুত্ব দেয়নি। এই হোক্কাইডো থেকে আমি চেয়েছি প্রকৃতির কাছ থেকে নতুন কিছু বের করে আনতে।

আরো পড়ুন :
> ডিস ব্যবসায়ীর কাছে জাবি ছাত্রলীগের চাঁদা দাবি
> বেনাপোলে ফেনসিডিলসহ ৩ মাদক কারবারি আটক

নাকাগাওয়া শীতের মাসগুলোতে বরফ বা তুষার জমা করে রাখেন। সেই জমানো তুষার গ্রিনহাউজে ব্যবহার করেন। গ্রীষ্মে গ্রিনহাউজ যাতে গরম হয়ে না যায়, তাই তা ঠাণ্ডা রাখার জন্য ব্যবহার করেন তুষার। শীতে তিনি প্রাকৃতিক উপায়ে গ্রিনহাউজকে এতটুকু উষ্ণ রাখেন, যাতে ভালভাবে মুকুল আসে। এভাবে এক মৌসুমে তিনি প্রায় ৫০০০ আম উৎপাদন করেন।

এ প্রক্রিয়ায় আমগুলো পাকে শীতের মাসগুলোতে। এই সময়ে কীটপতঙ্গও থাকে কম। ফলে তাকে কীটনাশকও ব্যবহার করতে হয় না। এই আম সাধারণ আমের চেয়ে অনেক বেশি মিষ্টি। এতে চিনির ঘনত্বের পরিমাণ থাকে প্রায় ১৫ গুন। ২০১৪ সালে ইসেতান নামের ডিপার্টমেন্ট স্টোর তার উৎপাদিত একটি আম টোকিওর শিনজুকুতে প্রদর্শন করে। পরে তা বিক্রি হয় প্রায় ৪০০ ডলার দামে। একটিমাত্র আমের এই দামের কারণে বিষয়টি সংবাদ শিরোনাম হয়। অধিক পরিমাণে মনোযোগ আকর্ষণ করে। ওয়েবসাইটে অর্ডার করতে গেলেই কাস্টমার দেখতে পান বড় করে লাল অক্ষরে লেখা সোল্ড আউট’। অর্থাৎ বিক্রি হয়ে গেছে।

মে  ০৯, ২০২৩ at ২০:১৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর