ইউরোপের ২০ দেশে বাংলাদেশের নতুন শ্রমবাজারের হাতছানি

ছবি- সংগৃহীত।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, ‘ইউরোপ বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার এবং প্রতিনিয়তই কর্মী গমনের হার বাড়ছে। ইউরোপের কয়েকটি দেশে যেমন—ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশী কর্মী পাঠানোর বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’ প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গতকাল বোয়েসেলের মাধ্যমে রোমানিয়াগামী কর্মীদের বিদায় উপলক্ষে ব্রিফিং অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জার্মানির সঙ্গে জিটুজি চুক্তি স্বাক্ষরের চেষ্টা চলছে জানিয়ে সম্প্রতি সময় সংবাদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। ইউরোপের ২০টি দেশ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন শ্রমবাজারের হাতছানি দিচ্ছে জানিয়ে সচিব বলেন, দেশগুলোতে এরই মধ্যে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

ভূমধ্যসাগর পাড়ের ইউরোপীয় দেশ গ্রিস। উন্নত এ দেশটিতে বিনা খরচে বাংলাদেশি কর্মীদের নিরাপদ অভিবাসন ও কর্মসংস্থানের জন্য ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রিস ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে চুক্তি সই হয়। এটি ইউরোপের কোন দেশের শ্রমবাজারে বাংলাদেশি কর্মী নেয়ার প্রথম চুক্তি। এর আওতায় দেশটির কৃষি, পর্যটন ও তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ৫ বছরের ভিসা সরবরাহ করবে গ্রিস সরকার। প্রতি বছর ৪ হাজার করে বাংলাদেশি কর্মী যাবেন দেশটিতে।

পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়া, বুলগেরিয়া ও মলডোবা। এ দেশগুলোতে নির্মাণ, জাহাজশিল্প, কৃষি খাত, শিল্প কারখানা, পোশাক তৈরি শিল্প, কেয়ার গিভিং ও রেস্তোরাঁ শিল্পে বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের দুয়ার খুলেছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বলছে, ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল নাগাদ ১৬ হাজার ৪০৯ বাংলাদেশি কর্মীকে ভিসা দিয়েছে রোমানিয়া। এরই মধ্যে ঢাকায় অস্থায়ী কনস্যুলেটও খুলেছে দেশটি।

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটমুক্ত করার সভায় ব্যাপক হট্টগোল। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আরও বলেন, ‘গ্রিস শুরু করেছে, আমরা একটা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছি। নতুন কর্মীরা সহজেই যেতে পারবেন দেশটিতে। ইতালিতেও কথা হচ্ছে। ওই দেশটিতে অনেক বাঙালি থাকেন, তারাও মৌসুমি শ্রমিক নেয়ার কথা বলেছেন। ঠিক একইভাবে মাল্টাও নিতে চেয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে শ্রমিক নেয়ার চাহিদা আসছে।

আরো পড়ুন:
>মেসির বার্সেলোনায় ফেরার গুঞ্জন, যা বললেন কোচ জাভি
>গলার স্বর বসে গেলে যা করবেন

মধ্যপ্রাচ্য নির্ভরতা কাটাতে এরই মধ্যে মলদোভা, সার্বিয়া, যুগোস্লাভিয়া, আলবেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও মাল্টায় কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে। সরকার ইতালিসহ বাকি দেশগুলোর সঙ্গে দক্ষ কর্মী নিতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা, সমঝোতা স্মারক সই ও জিটুজি চুক্তি স্বাক্ষরের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো।

এ বিষয়ে বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম বলেন, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় মানুষ যাচ্ছেন, রোমানিয়াতেও যাচ্ছেন। ইতালিও একটা সুযোগ দেয়ার কথা ছিল অস্থায়ী কর্মী নেয়ার, মানে মৌসুমি কর্মী নেয়ার।তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে বর্তমানে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মী নিয়োগের কোনো চুক্তি না থাকায় দেশটির শ্রমবাজারের সুবিধা পেতে জার্মান সরকারের সঙ্গে জিটুজি চুক্তি স্বাক্ষরের চেষ্টা চালাচ্ছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

ফেব্রুয়ারি ২৩.২০২৩ at ১১:৫৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মেইস/এসআর