করোনা: ৪ লাখ মৃত্যু দেখল ভারত

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসছে। ধীরে ধীরে কমছে মৃত্যুর হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৮৫৩ জনের। ফলে দেশটিতে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়াল চার লাখ। ভারতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে বর্তমানে চার লাখ ৩১২ জন। খবর এনডিটিভি।

শুক্রবার (২ জুলাই) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪৬ হাজার ৬১৭ জন মানুষ। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪ লাখ ৫৮ হাজার ২৫১ জনে।

অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৫৩ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ লাখ ৩১২ জন।

এদিকে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতে দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় বেশিসংখ্যক মানুষ সুস্থ হয়েছেন। ফলে দেশটিতে কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গত একদিনে ভারতে সুস্থ হয়েছেন ৫৯ হাজার ৩৮৪ জন মানুষ। অন্যদিকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসছে। ধীরে ধীরে কমছে মৃত্যু এবং সংক্রমণের হার। মে মাসে প্রায় প্রতিদিন সাড়ে তিন থেকে চার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে দেশটিতে। আক্রান্ত হয়েছেন তিন থেকে চার লাখ মানুষ। সে তুলনায় বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক বলা চলে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও ৮ হাজার ৭৭৬ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৯৭ হাজার ২৭৮ জন।

এ নিয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় মৃত্যু হলো ৩৯ লাখ ৭১ হাজার ১১৯ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ কোটি ৩৩ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৫ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ কোটি ৭৯ লাখ ৮ হাজার ৩৮৪ জন।

আরো পড়ুন:
দাম নিয়ে শংকায় হাজারো খামারী ঝিনাইদহে কোরবানির জন্য প্রস্তুত এক লাখ ৩১ হাজার গরু ছাগল
শিবচরে মাঠে নেমেছে সেনা বাহিনী; লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর প্রশাসন
লকডাউনের মাঝেও মাইকিং করে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রি

২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।