যানযট বনাম করোনা ভাইরাস

পিচঢালা পথটাকে ভালোবেসেছি; করোনাভাইরাস ভয় না করেই পথে-ঘাটে ছুটে চলেছি। যানজট ছিলনা করোনা ভাইরাসের শুরুতে তবে বর্তমানে সেই পূর্বের চিত্র আর দেখা যায় না কোথাও দিনে দিনে বেড়ে চলছে পথে-ঘাটে সীমাহীন যানজট। একদিকে করোনা ভাইরাসের জন্য জীবন অতিষ্ট সকলের অন‍্যদিকে ক্রমাগত বেড়ে চলছে ঢাকা শহরসহ বিভিন্ন জেলা শহরে সীমাহীন যানজট। তার‌ই প্রমাণ পেলাম রাস্তায় বের হয়ে প্রায় ৮০ দিন পরে। গাজীপুর বোর্ড বাজার থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা যেতে সময় লেগেছে প্রায় দুই ঘন্টা যে পথ পারি দিতে বেশি হলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগতো। এছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন অলিগলি সহকারে বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলের সামনে সকল প্রকার যানবাহন ঘন্টার পর ঘন্টা থেমে থাকতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন টিভি চ‍্যানেলের সংবাদ মাধ্যমে।

আরো পড়ুন :
নাটোরে আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে মার্কেট ও বিপনীবিতাণ !
প্রশাসনের নাকের ডগায় ফের মুক্তিযোদ্ধার টাকা ছিনতাই
চুয়াডাঙ্গার হাট-বাজারগুলোতে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিরোধমূলক প্রচারণা

করোনার শুরুতে সকলের বাচার জন্য একটি শ্লোগান ছিলো “আমরা সবাই ঘরে থাকবো; করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো।

কিন্তু বিগত আড়াই মাসের মধ্যেই পরিবর্তন হয়েছে সেই শ্লোগান এখন সবাই পেটের ক্ষুধা নিবারণ করতে জোট বেঁধে বের হয় ঘর থেকে। এখন সবাই বলে থাকবোনা আর বদ্ধ ঘরে; ক্ষুধার জালায় জীবন মরে।সত্যিই আমরা আর কতোদিন এভাবে ঘরে থেকেই জীবনের দ্বীপশীখা নিভিয়ে ফেলবো? অনাহারে ঘরে থেকে থেকে।জীবন হলো সবার আগে পরে হলো করোনা ভাইরাস। কিন্তু তাতেও কোনো প্রকার লাভ হচ্ছে না অসহায় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের। কেননা রাস্তায় বের হয়ে পরতে হচ্ছে যানজটের মহা ঝামেলায় তাই রিস্কা চালক, টেম্পু চালক এবং সিএনজি চালক সকলকেই পরতে হচ্ছে ঝামেলায়। কোনো লাভ হচ্ছে না কারো বর্তমান সময়ে। ঈদকে সামনে রেখে সকল শ্রেণীর মানুষ রাস্তায় বেড়িয়ে পরছেন করোনাকে আর ভয় করছেন না কেউ সকলেই পেটের ক্ষুধা দূর করতে রাস্তায় জমাট হচ্ছেন। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে আমাদের বাংলাদেশের অবস্থা খুবই খারাপের পথে চলে যাবে। ক্রমাগত ভাবে মৃত্যুর হার বেড়ে চলছে অন্য দিকে করোনায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আকাশ কুসুম বেড়ে চলছে যা কল্পনা করতে ভয় হয় সকলের। যা চিন্তা করতে হিমশিম পোহাতে হচ্ছে সকল শ্রেণীর মানুষকে।

জীবনের মায়ামমতা ত‍্যাগ করে বর্তমানে সকলেই একজোটে ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন আমরা সত্যিই অনেক বড় ধরনের মহামারীর মধ্যে পরতে যাচ্ছি যে কথা বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ বলেছেন। তবুও বলবো আমরা ঘরে থাকি নিজেকে সুস্থ্য রাখি পরিবারের সকলকে সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করি। জীবন বাচলে করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারবো সবাই আর এই জীবন যদি না থাকে তাহলে কিসের জন্য করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো?

আমাদের বাংলাদেশ আজ বড় ধরনের দূর্যোগের মুখোমুখি তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা একটু কষ্টকরে হলেও ঘরে থাকি সরকারকে সাহায্য করি হয়তোবা করোনার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারলে আবারও ফিরে যেতে পারবো পিচঢালা পথে আয় রোজগারের জন্য। যানজটের সমস্যা আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে থাকবে সবসময় হয়তোবা করোনার ধ্বংস একেবারে শেষ হবেনা তবুও আর কিছু দিন অপেক্ষা করে দেখতে হবে যদিও বিশেষজ্ঞ জনেরা বলে দিয়েছেন করোনা ভাইরাস একেবারে শেষ হবে না, হয়তোবা এই করোনা ভাইরাসের সঙ্গে আমাদের সকলকেই অনায়াসে জীবন মানিয়ে নিতে হবে। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন নিরাপদে থাকুন।

আগামভাবে জানাই সকলকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক।

লেখক : সাংবাদিক
মোঃ ফিরোজ খান
জেলা গাজীপুর বাংলাদেশ
মোবাইল:০১৭৯৫৩২৮৫৩৪
ইমেইল : [email protected]

মে ১৯, ২০২০ at ১১:৪৫:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আকেএমডিকে/এএডি