লেখক- ইমাউল হক, পিপিএম
পুলিশ পরিদর্শক ।
এক আদর্শ ডাক্তার মহোদয়ের নিকট আবেদন। তেমন কিছু জানিনা। তবে ডাক্তার বন্ধুদের নিকট যা শুনেছি সে মতে:
ডাক্তার হলো রোগ নির্ণয় এবং সে অনুযায়ী ওষুধ নির্ধারণ এবং প্রয়োগের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ। ডাক্তার, নার্স এবং ফার্মাসিস্ট ত্রিভুজের মত । চিকিৎসা হলো প্রেসক্রিপশন।
প্রেসক্রিপশন হলো” A direction, usually written, by the physician to the pharmacist for the preparation and use of a medicine or remedy; অর্থাৎ,প্রেসক্রিপশন হল ডাক্তার কর্তৃক ফার্মাসিস্টের প্রতি ওষুধ তৈরি এবং ব্যবহারের একটি লিখিত নির্দেশনা।
তার মানে ডাক্তার প্রেসক্রিপশন লিখবেন ফার্মাসিস্টকে উদ্দেশ্য করে। ফার্মাসিস্ট প্রেসক্রিপশন পড়ে সে অনুযায়ী রোগীর জন্য ওষুধ তৈরি করবেন, রোগীকে ওষুধ দিবেন এবং ওষুধের ব্যবহার রোগীকে বুঝিয়ে
দিবেন। ফার্মাসিস্টের বাংলা প্রতিশব্দ হল ওষুধবিদ।
তাই আকুল আবেদন প্রথমে আগে রোগ নির্ণয় করে দিন। যেহেতু করোনার ঔষধ নেই ঐ জায়গা ফাঁকা রাখলেও হবে। করোনার সন্দেহে চলমান রোগেও অনেকেই যেমন পরিচিত একজন গলা ব্যথা সঠিক চিকিতৎসা তো না তাকে দেখেই নাই। অথচ খাবার সময় মাচের কাঁটা বিঁধে গলা ফুলে অসুস্থ।
আমরা যেমন চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি হলে খাওয়া দাওয়া ঘুমানো বন্ধ করে স্ত্রী সন্তানদের চিন্তা না করে নিশ্চিত মৃত্যু জেনে জাতির প্রয়োজনে উৎসর্গ করি। আপনদের ও তাই করা জরুরি।
ডাক্তার রোগীর চিকিতৎসা দিলে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেটারও প্রটেকশন দরকার। কিন্তু মহামারী প্রতি বছর হয় না। মাঝে মাঝে আসে। পেশাদারিত্বের কাছে সংক্রামক টিকবে না ইনশাল্লাহ । অতীত কালে বীন বাজায়ে সাপের বিষয় টেনেছে। নিশ্চিত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করেছে। জাতি সেই ওঝা চায়।
আমরাও থাকব আপনদের পাশে। আসুন প্রতিটি পেশাদারিত্বকে একটি করে হাসপাতাল তৈরি করি
করোনার কোনো রোগী বিনা চিকিতৎসায় যাবে না। শুধু রোগ নির্ণয় করে ফোনে সাহস যোগাবেন।
আল্লাহ্ ভরসা ।
লেখক-
মার্চ ৩০, ২০২০ at ১৩:৩৩:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ইহ/তআ