তুরাগে দিনদুপুরে ব্যবসায়ীর বাসায় চুরি, সতের লাখ টাকা স্বর্ণালংকার লুট

রাজধানী ঢাকার তুরাগে দিনদুপুরে ব্যবসায়ীর বাসায় চুরি, নগদ টাকা স্বর্ণালংকার সহ প্রায় সতের লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে তুরাগ থানার, ডিয়াবাড়ি তারারটেক এলাকার আক্কাস আলীর বাড়িতে। এ ঘটনায় তুরাগ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মো. রাজু আহমেদ বিগত আড়াইবছর থেকে ডিয়া বাড়ি তারারটেক এলাকায় মো. আক্কাস আলীর বাড়িতে চতুর্থ তলায় একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন, গত পনের দিন আগে রাজু আহমেদ বাড়িওলাকে বাসা ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান, ১৫ ই আগষ্ট বাড়িওয়ালার ছেলে ফয়সাল রাজুকে বলেন আপনারাতো বাসায় থাকেন না ভাড়াটিয়া আসলে রুম দেখাতে হবে আমাকে একটা ছাবি দেন, রাজু আহমেদ তার কথামত একটি ছাবি তাকে দিয়েছেন, যাহা এখনো ফয়সালের নিকট রয়েছে।
আরো পড়ুন :

> তৃতীয় সন্তানের বাবা হলেন তাসকিন
> যশোর পৌরসভায় অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা একবেলার বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে মানুষ

রাজু আহমেদ প্রতিবেদককে বলেন, আমার মিরপুর একটি গার্মেন্টস রয়েছে, আমার স্ত্রী সেটা দেখে আমি মাঝে মধ্যে যাই, আমার ছেলেরা মাদ্রাসায় পড়ে, ডিয়াবাড়ি কালামার্কেট আমার একটি গার্মেন্টসের শোরুম আছে, ঘটনার দিন ২২/৮/২৩ অন্যদিনের মত সকাল ১০.৩০ আমরা সবাই বেরিয়ে যাই, রাত ১০টার দিকে বাসায় ফিরে দেখি রুমের তালা ভাঙ্গা, রুমে ঢুকে দেখি, ওয়াড্রপের ড্রয়ার খোলা,সেখান থেকে সাড়েসাতভরি স্বর্ন, নগদ ৪,৪০,০০০ টাকা একটি সাউন্ড বক্স, একটি হাতঘড়ি নিয়ে যায়, সাতভরি রুপার নুপুর মূল্য ১৮০০০।

রাজু আহমেদ আরো বলেন হজ্জে যাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবত দুটি মাটির ব্যাংকে টাকা জমিয়েছেন,সেগুলো ও নিয়ে গেছে কথাগুলো বলতেই তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে যান।তিনি বলেন ঘটনার দিন রাতে আমি তুরাগ থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে,এস আই এমরান ঘটনাস্থলে আসেন,তিনি আমাকে আশ্বস্ত করে বলেন আমি বিষয়টি সিরিয়াস ভাবে দেখবো কিন্তু দুই দিন পার হলেও এখনো কোন ক্লু উদ্ধার করা যায়নি।আমি ওসি সাহেবের সাথে দেখা করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

জনমনে প্রশ্ন উঠেছে দিনে-দুপুরে একটা বাড়ির চতুর্থ তলায় চুরি হয় কিভাবে তালা ভাঙ্গলে আশপাশের লোকজন কেউই কি বিষয়টি টের পেতনা? কারো নজরে কি আসতোনা?বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হলে, চোরকে আটক করে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হতে পারে বলে মনে করেন এলাকার মানুষ।

এবিষয়ে এস আই এমরানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক,সিসি ক্যামেরা না থাকায় একটু কষ্ট হচ্ছে, তবুও বিষয়টি আমি সিরিয়াসলি দেখছি।

আগস্ট ২৪, ২০২৩ at ১২:৫১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মোরইমি/ইর