বান্দরবানে সাথে থানচির যোগাযোগের ভরসা নৌ-পথ

প্রায় দেড় যুগের পরে সড়ক যোগাযোগের বিচ্ছিন্নতার কারণে জনসাধারণ মানুষ কিংবা ব্যবসায়ীরা বর্তমানে বান্দরবান জেলার শহরে সাথে থানচির যোগাযোগের মাধ্যম একমাত্র আস্থার ভরসা যাতায়াতের বেঁচ্ছে নিচ্ছেন নৌ-পথে ইঞ্জিন চালিত বোট। জেলার শহরে সাথে সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে না হওয়ার সময়ে বিরতিহীনভাবে নৌ-পথে যাতায়াতের অবলম্বন করেছিলেন। যা সেটি বর্তমানে সড়ক যোগাযোগ বন্ধের ফলে সাময়িকভাবে নৌ-যোগের যাতায়াত করতে হচ্ছে।

চলতি বর্ষার মৌসুমে টানা কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাতের পাহাড় ধ্বসের সড়কে ব্যাপক আকারে ক্ষতিগ্রস্ত, সড়কের যানবাহন চলাচল করতে না পারার কারণে থানচি হতে বান্দরবানে স্পীড বোট, টলারের দিয়ে নৌ-পথে যাতায়াতের অবলম্বন করেছেন। এ দুর্যোগের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের চরম দুর্ভোগে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ জনজীবন।

আরো পড়ুন :

> ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে হুমকিতে ৩০ কোটি টাকার সাবমেরিন ক্যাবেল
> দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের সর্বপ্রথম আলোকিত মানুষ হতে হবে: যবিপ্রবি উপাচার্য

সুত্রে জানা যায়, চলতি বছরের বর্ষার মৌসুমে টানা ভারী বর্ষণ ও বৃষ্টিপাতের পাহাড় ধ্বস ও বন্যা দুর্যোগের কাটিয়ে ভৌগোলিক পৃষ্ঠক স্বাভাবিক পরিস্থিতির ফিরলেও চরম দুর্ভোগে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ জনজীবন। অতিবাহিত বৃষ্টিপাতের বান্দরবান-থানচি সড়কে উপর পাহাড় ধ্বসের কবলিত পড়ে ব্যাপক আকারে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ছোট বড় যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

আরো জানা গেছে, সড়ক যোগাযোগের বন্ধের পরে থানচি-বান্দরবান নৌ-পথে শুরুতে ইঞ্জিন চালিত স্পীড বোট, ট্রলারের জনের প্রতি দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকার ভাড়া নিতেন চালকরা। এতে যাতায়াতের দুর্ভোগের ভুগতে হচ্ছে জনসাধারণ। ইঞ্জিন চালিত স্পীড বোটের চড়াও ভাড়ার নিচ্ছে তা প্রশাসনের নজরে আসলে থানচি টু বান্দরবান নৌ-যোগের যাতায়াতের জনের প্রতি নয়শত টাকার ভাড়া নেয়ার জন্য নির্ধারিত করে দেন।

স্থানীয়রা জানান, টানা বৃষ্টিপাতের পাহাড় ধ্বসের পড়ে অভ্যন্তরীন সড়কে বিভিন্ন স্থানের খন্দ খন্দ ভাঙ্গনে বিশালাকার গর্তের ঝর্ণার রূপের পরিনত হয়। বন্যা ও পাহাড় ধ্বসের আশষ্কায় ঝুকিপূর্ণ স্থান হতে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে গেলেও থানচি বাজারে সাঙ্গু নদীর পাশে গড়ে ওঠার বিভিন্ন দোকানে নিচ-অংশটুকু পানিতে ডুবে গিয়েছিল। পানি কমে গেলেও চরমভাবে কাঁদা মাটি বসে দোকানে বিভিন্ন অংশের নষ্ট হচ্ছে। এতে ঠিক করতে খরচও অনেক টাকার ব্যয় হয়ে গেছে, পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণও পাননি। এবং বৃষ্টিপাতের পাহাড় ধ্বসের সড়কে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ছোট বড় যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এদুর্যোগের জেলার শহরে যাতায়াতের প্রচুর পরিমানে খরচ করে দুর্ভোগে ভোগতে হচ্ছে জনসাধারণ, তেমনিভাবে জেলার শহর থেকে পরিবহনে ব্যাপক পরিমাণে খরচ করে বাজারে মালামাল আনতে হচ্ছে বলেছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে নৌ-পথে নৌ-যোগাযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভাগ্যচন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, টানা বৃষ্টিপাতের সাঙ্গু নদীতে ভয়াল পানি স্রোতের গতিবেগ বৃদ্ধির কারণে থানচি সদর সাথে তিন্দু ইউনিয়নের যোগাযোগ সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন ঘটেছিল। সেটি যেদিন পানি কমে গেছে সেদিন হতে যোগাযোগ স্থাপনে স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু বান্দরবান শহরে সাথে থানচির যোগাযোগ বন্ধ। তবে সাময়িকভাবে নৌ-পথে যোগাযোগের যাতায়াতের স্বাভাবিক রয়েছে।

থানচি উপজেলা কৃষিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি অফিসার বিপ্লব মারমা জানান, আম্রপালি ও রাংগুই জাতের আম’সহ বিভিন্ন জাতের আমের ন্যায্যমূল্যের না পাওয়ার এমনেতেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষিরা। সেটি রেশ কাটতে না উঠতে টানা বৃষ্টিপাতের বন্যা ও পাহাড় ধ্বসের জুম, আম বাগান, ধানের জমি, ফসলের চাষের উপর ব্যাপক আকারে ক্ষতিগ্রস্ত প্রভাব পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে কৃষি দপ্তরের উর্দ্ধতম কতৃপক্ষের পেশ করেছি। এবং চাষিদের চাহিদার পুরনে সব ধরনে কৃষিকাজে পরিচর্চা ও পদ্ধতি ব্যবহারের সহযোগিতার প্রদান করা হবে।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহা. আবুল মনসুর বলেন, সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে সংস্কারে কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের আপ্রাণ চেষ্টায় চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী দল। সড়ক যোগাযোগের বিচ্ছিন্ন কারণে নৌ-পথে ইঞ্জিন চালিত স্পীড বোট দিয়ে বান্দরবান শহরে যাচ্ছে জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীরা।

তিনি আরো বলেন, টানা বৃষ্টিপাতের সাঙ্গু নদীর উজানে ভয়াল স্রোতের গতিবেগ বৃদ্ধির কারণে থানচিতে রেমাক্রী ও তিন্দু দুই ইউনিয়নের পর্যটক ভ্রমণে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। থানচি হতে রেমাক্রী পর্যন্ত পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে প্রশাসনুযায়ী ঙাফাখুম, আমিয়াখুম, সাতভাইখুম ও দেবতা পাহাড়’সহ অন্যান্য পর্যটন স্পটের ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেটি যে কেউ অমান্য করলে আইনানুসারে পদক্ষেপ গ্রহনে শাস্তি প্রদান করার হবে বলে জানান তিনি।

আগস্ট ১৭, ২০২৩ at ১৩:০৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর