বৃষ্টিপাত কমায় কক্সবাজারে নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি

ছবি- সংগৃহীত।

কক্সবাজার জেলার ৭ উপজেলার প্লাবিত এলাকায় বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় কক্সবাজারের সদর, পেকুয়া, চকরিয়া, কুতুবদিয়া, রামু, মহেশখালী, টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার প্লাবিত এলাকাসমূহে এই পরিস্থিতি। কিছু স্থানের লোকালয়ের পানি নেমে গেলেও এখনো রাস্তাঘাট ডুবে আছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কুতুবদিয়ায় ৭০০ পরিবার, পেকুয়াতে ১০ হাজার পরিবার, মহেশখালীতে ৫০০ পরিবার, চকরিয়ায় ৫০ হাজার পরিবার, কক্সবাজার সদরে ১ হাজার পরিবার, ঈদগাঁও উপজেলায় ১৫০ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।

আরো পড়ুন :

> স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন কাদের
> ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় দুস্থদের ত্রাণ বিতরণ-বিজিবি-৮

৭ আগস্ট বিকেলে পাহাড় ধসে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মা-মেয়ে ও চকরিয়ার বড়ইতলী এলাকায় দুজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত হন আরও চারজন।

আবহাওয়া অফিসের কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের জৈষ্ঠ্য পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র দাশ জানান, গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১৭ মিলিমিটার।

জানা যায়, পাবর্ত্য জেলা ও চকরিয়ার পাহাড়ি ঢল নেমে আসায় মাতামুহুরি নদী ও জোয়ারের ঢেউয়ে বাঁধ ভেঙে বিভিন্ন ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। চকরিয়ার একটি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে পৌরসভাসহ ১২ ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। এর মধ্যে ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়েছে কাকড়া, লক্ষ্যরচর, বুমুবিল ছড়ি, সুরেজপুর-মানিকপুর, কৈয়ারবিল, কোনাখালী ইউনিয়ন। তবে এখন পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমলেও মানুষ এখনো আশ্রয় কেন্দ্র আছেন। তাদের জন্য রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান জানান, চকরিয়া উপজেলায় পানি কমতে শুরু করেছে। আমরা ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছি। উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আগস্ট ০৯, ২০২৩ at ১১:৩২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর