তালায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলের উপকারভোগীর টাকায়দালাল চক্রের ভাগ

ছবি- সংগৃহীত।

সাতক্ষীরারতালায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও পূর্ণবাসন প্রকল্পের উপকারভোগীর টাকায় ভাগ বসিয়েছেন স্থানীয়দালাল চক্র। সিংহভাগ উপকারভোগীর কাছ থেকে অর্ধেকেরও বেশী হাতিয়ে নিয়েছেন তারা।

প্রাপ্ত তথ্যেজানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও পূর্ণবাসন প্রকল্পের আওতায় দূর্যোগ ব্যবস্থপনা অধিদপ্তর কতৃকতালা উপজেলার ৯৬ জন প্রতিষ্ঠান ও দরিদ্র, অসহায় ও ছিন্নমুল পরিবারের জন্য ১ বান ঢেউটিন ও৩ হাজার নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

আরো পড়ুন :

> ঘোড়াঘাটে গলায় ফাঁস দিয়ে বৃদ্ধের আত্মহত্যা
> রাষ্ট্রীয় পদক অর্জনের জন্য ডা. নাজমুল হককে টেকনো ড্রাগস্ এর শুভেচ্ছা

গত ২৪জুলাই সাতক্ষীরা-১আসনের(তালা-কলারোয়া) সংসদ সদস্য এ্যড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ প্রধানঅতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এই চেক ও ঢেউটিন বিতরণ করেন। এ সময় তিনি বলেছিলেন, এটাপ্রধানমন্ত্রীর উপহার। আপনাদের এই টাকা থেকে কোনো দালাল চক্রকে টাকা দিবেন না। কিন্তু সংসদসদস্যের কোনো কথাই শোনেনি এই চক্রটি। চেকের মাধ্যমে টাকা প্রদান করা হলেও খলিল নগর ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামের আরিজুলের স্ত্রী ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা ওয়ার্ডের সাবেকমেম্বর প্রার্থী জুলেখা বেগম এবং জালালপুর ইউনিয়নের ৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য ফিরোজা বেগম কৌশলে উপকার ভোগীদের টাকা থেকে অর্ধেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এছাড়া সরকারী বিভিন্ন উপকার ভোগীদের কাছ থেকে এভাবে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এর আগে জালালপুর ইউনিয়নের জেঠুয়া গ্রামের তবিবুর রহমান কালু ও জালালপুর ইউনিয়নের ৩ নংসংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্যা ফিরোজা বেগম সহ এই দালাল চক্রটি উপজেলা সমাজসেবা অফিসের দূর্ণীতি পরায়ন কর্মকর্তাদের জোকসাজসে প্রতিবন্ধী কার্ড তৈরী করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যেটা পরবর্তীতে জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের তদন্তে প্রমাণিত হয়।

এবিষয়ে নামপ্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন ভুক্তভোগী জানান,আমরা টাকার ভাগ না দিলে পরবর্তী আমাদের কোন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে না। আমরা গরীব মানুষ পরবর্তীতে আর কোন কিছু যদি আমাদের না দেয় সেই ভয়ে বাধ্য হয়ে টাকার ভাগ দিয়েছি।

এবিষয়ে ফিরোজা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢেউটিন ও টাকা পাইতে তিনি নিজে ডিসি অফিসে গিয়ে উপকারভোগীর তালিকা জমা দিয়ে এসেছিলেন। তাই উপকারভোগীরা ঢেউটিন ও টাকা পেয়ে খুশি হয়ে তাকে টাকা দিয়েছেন। কেও খুশি হয়ে দিলে সেটা নেওয়া কি দোষের?

এবিষয়ে জুলেখা বেগমের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমরা জনগণের সহযোগীতা করি। ঢেউটিন ও টাকা পাইতে সহযোগীতা করার কারণে তারা খুশি হয়ে আমাদের অর্ধেক টাকা দিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওবায়দুল হক বলেন, আমরা তালিকা অনুযায়ী সংসদ সদস্য এ্যড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহার উপস্থিতিতে প্রতিটি উপকারভোগীর হাতে চেক ও ঢেউটিন বিতরণ করেছি। পরে যদি কেউ কাউকে টাকা দেয় তাহলে আমাদের কি করার আছে?

আগস্ট ০৬, ২০২৩ at ১৬:৫২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর