কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ফের উত্তপ্ত , আহত ৩

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির পর আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। আজ বুধবার (৮মার্চ) পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়াত উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান ও বিজ্ঞান অনুষদের সহ-সভাপতি রোহানকে ছাত্রদল নেতা কর্তৃক মারধর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী হতে জানা যায়, ছাত্রলীগের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন, সালমান, সাদ্দাম, সায়েমসহ কয়েকজন চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেয়ার মুহূর্তে রেজা এলাহীর ( ক্যাম্পাসের বাহিরে অবস্থানরত গ্রুপের নেতা) কর্মীরা বহিষ্কার হওয়ারপরও এনায়াত-সালমান ক্যাম্পাসে কি করছেন জানতে চান। এরপর ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপের সামনেই বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের মারধর করেন ছাত্রদল নেতা রনি মজুমদার।

এবিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, আজকের এই ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ী। তাদের দেয়া লিস্ট অনুযায়ী ২৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি রনি মজুমদার, বিপ্লব, ইকবালরা ( ক্যাম্পাসের বাহিরে অবস্থানরত ছাত্রলীগ নেতা) আমার কর্মীদের মারধর করেছে।

হল সা. সম্পাদককে মারধরে ইন্ধনে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ক্যাম্পাসের বাহিরে অবস্থানরত ছাত্রলীগের অন্য গ্রুপের নেতা স্বজনবরণ বিশ্বাস বলেন, কে বা কারা হলের নেতা কর্মীদের মারধর করেছে এবিষয়ে আমরা কিছু জানিনা। আমরা কেউ ঘটনাস্থলে ছিলাম না। কেউ যদি আমাদের দায়ী করে থাকেন তাহলে আমি বলবো তাদের উদ্দেশ্য বিশৃঙখলা করা।

আরো পড়ুন :
>মহম্মদপুরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত
>মহম্মদপুরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন, হত্যার ৩ ঘন্টার মধ্যে চিরুনি অভিযানে আসামী আটক

ভুক্তভোগী সালমান চৌধুরী জানান, আমাকে বিপ্লব চন্দ্র দাস ডেকে নিয়ে যায় এবং প্রশাসন বহিষ্কার করলেও কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছি জানতে চেয়ে আমাকে এবং হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহকে মারধর শুরু করেন।

এসময় মারধরের শিকার হওয়া ছাত্রলীগ নেতার পক্ষ নিয়ে হলের নেতা কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া চালান ও আশেপাশের কয়েকটি দোকানে ভাংচুর করেন।

এবিষয়ে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক এস এম আতিকুউল্লাহ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি ভিসি স্যারের সাথে কথা বলেছি। বহিরাগতরা যেহেতু আক্রমণ করেছে তাই আমরা তাদেরকে যতদ্রুত সম্ভব গ্রেপ্তার করব।

প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, এসব বিষয়ে আমার কোন ইন্ধন নেই। যারা এমনটি বলছে তারা এটিকে প্রমাণ করতে হবে। প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি তারা এটা তাদের বিষয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি রাত ১০টায় রেজা-ইএলাহী সমর্থিত নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে উঠতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাঁধা প্রদান করেন। পরে এক সহকারী প্রক্টরের সাথে বাগবিতণ্ডা হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর জেরে গতকাল ৭ ই মার্চ এনায়েত উল্লাহ এবং সালাম চৌধুরীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে। এছাড়াও এর আগে বাঁশে প্রশ্রাব করায় মারধরকারি ছাত্রদল নেতা রনি মজুমদারকে দত্ত হল শাখার সা. সম্পাদক এনায়াত উল্লাহ, খাইরুল বাশার সাকিব, ও ইমতিয়াজ শাহরিয়ারসহ কয়েকজন মারধর করেন।

মার্চ ০৮, ২০২৩ at ১৮:০৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/কু/মমেহা