খেশরায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চুরি, উপযুক্ত পদক্ষেপ নেই প্রশাসনের!

তালা উপজেলায় কয়েক দিনের ব্যবধানে কমপক্ষে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ২৪টি ফ্যান চুরি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের টহল ও তদারকি প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সোমবার(৩০’জানুয়ারী) দিবাগত গভীর রাতে তালার ৫২নং মুড়াগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের হ্যাসবোল্ট কেটে ১২টি ফ্যান এবং শৌচাগারের যাবতীয় জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায় চোরচক্রের সদ্স্যরা। অত:পর শেষরাতে যখন চোর চক্ররা স্কুলের পাশের অশোক অধিকারীর বাগানে চুরিকৃত মালামাল ভাগাভাগি করছিল তখন স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যক্তি সেচপাম্প চালু করার জন্য পাশের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন।

বাগানের ভিতর শব্দ পেয়ে কারা সেখানে জানতে চাইলে, চোরচক্রের সদ্স্যরা মুখোশ পরিহিত অবস্থায় তার দিকে লোহার রড নিয়ে তেড়ে আসে। তখন আলমগীর ‘চোর চোর’ চিৎকার দিলে চোরেরা ১টি সাইকেল, ১টি পরিধেয় হলুদ রঙের হুডি, ১টি টর্চলাইট, গামছা, জুতা, ব্যাগ, দড়ি প্রভৃতি ফেলে পালিয়ে যায়। ৩১’জানুয়ারি সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উক্ত জিনিসগুলো পুলিশ আলামত হিসেবে জব্দ করে নিয়ে যায়।

এর আগে, শনিবার(২৮জানুয়ারি) দিবগত রাতে তালার ১৩৩ নম্বর পশ্চিম খেশরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের হ্যাসবোল্ট কেটে চোরেরা ১০টি ফ্যান চুরি করে নিয়ে যায়। এ নিয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরিমল পাঠক গত ২৯’জানুয়ারি তালা থানায় একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন।

আরো পড়ুন:
> পান খেলেই মাথা থেকে বের হয় ধোঁয়া, কারণ জানতে মেডিকেল টিম গঠন
> হাথুরুসিংহেই টাইগারদের নতুন হেড কোচ, দুই বছরের চুক্তি

তারও আগে বৃহস্পতিবার(২৬’জানুয়ারি) দিবাগত রাতে তালার শালিখা কলেজের সাইক্লোন সেল্টারের ঢালু সিড়ির দোতলা প্রান্তের গ্রিল কেটে প্রায় ৩(তিন) লক্ষ টাকা মূল্যের ব্যাটারি, ফ্যান ও চারতলা ভবনের শৌচাগারের মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায় চোরচক্ররা। কিন্তু এসব চুরি করার অভিযোগ পেলেও টনক নড়েনি প্রশাসনের!

এলাকাবাসীদের অভিযোগ, খেশরার বিভিন্ন স্কুলে চুরির ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে প্রশাসন যদি কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতো তাহলে আজকে এই চুরির ঘটনা ঘটত না। এত চুরি হচ্ছে অথচ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কি চোখে দেখেনা ?
চুরির বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ-আল-মামুন তাজ ক্ষোভের সাথে বলেন, এই এলাকায় বারবার চুরির ঘটনা ঘটছে অথচ সেটা প্রশাসনকে জানানোর পরেও প্রশাসন কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

তালার খেশরা ক্যাম্পের আইসি((ভারপ্রাপ্ত) এস.আই দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল তিন থানার পার্শ্ববর্তী হওয়ায় আমরা আসামি শনাক্তে কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছি তবুও আমরা আসামিদেরকে শনাক্ত করার জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত বছর এই সময়ে এইচ.এম.এস মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে অনেকগুলো ফ্যান এবং শালিখা বাজারের ১৪ টি দোকান থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা।

জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ at ২১:০১:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/এমএইচ