আবারো বাড়তে পারে বিদ্যুতের দাম

ছবি- সংগৃহীত।

শিগগিরই আরেক দফা বাড়তে পারে বিদ্যুতের দাম। এমন আভাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলছেন, এখন আর মোটা ভর্তুকি টানার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই সরকারের।

আগামী মাস থেকে কার্যকর হচ্ছে গ্যাসের নতুন দাম। এতে সবচেয়ে বেশি বাড়ছে সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের বিল। আর বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে এসব বিল পরিশোধ করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এতে বছরে পিডিবির খরচ বাড়বে ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি। বাড়তি এ খরচের চাপ সামলাতে উদ্বেগে আছে পিডিবি।

গরমে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ মিলবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, জ্বালানির দাম চড়া থাকলে সেই সুযোগও কম। এদিকে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তেল-গ্যাস বিক্রিতে লাভে রয়েছে সরকার। তাই উচিত হবে বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে সমন্বয় করা।

দেশে প্রায় সাড়ে ২২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার মধ্যে অর্ধেকই গ্যাসভিত্তিকই। পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে ওই সব কেন্দ্রের জন্য গ্যাস কিনতে হবে ১৪ টাকা প্রতি ঘনমিটার। যা এক লাফে বেড়েছে প্রায় ৩ গুণ।

পিডিবির হিসাবে, বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ব্যয় ৯ টাকার মতো। কিন্তু গ্যাসের নতুন দাম কার্যকর হলে ইউনিটপ্রতি খরচ বাড়বে অন্তত ১ টাকা। ফলে সেই বিদ্যুৎ কিনতে পিডিবির বাড়তি ব্যয় হবে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। আর তা সমন্বয়ের প্রধান পথই ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ানো।

আরো পড়ুন:
>তিন জেলায় সড়কে প্রাণ গেল চারজনের
>অনিয়মেই সেই প্রার্থীকে নিয়োগ দিচ্ছেন কুবি উপাচার্য

জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীরও একই মত। এই বিষয়ে সরকার সময়ও নিতে চায় না খুব বেশি বলে জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, আমরা ধাপে ধাপে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে চাই। আমাদের কিছুই করার নেই। মানুষের কষ্ট হবে জানি। একটু সহ্য করতে হবে। সরকারের হাতে আর কোনো অপশন নেই।

বর্তমানে ১০ হাজার মেগাওয়াটের নিচে চাহিদা থাকলেও তা উৎপাদনে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিয়মিত। ফলে লোডশেডিংও হয়ে উঠেছে নিয়মিত ঘটনা।

জানুয়ারি ২৯.২০২৩ at ১১:৩৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআর