স্ত্রীকে মেরে টুকরো করে খালে ভাসালেন যুবক

স্ত্রীকে খুন করে তাঁর দেহ দু’টুকরো করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়ার গোয়ালটুলি মোড় সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতার নাম রেণুকা খাতুন (৩০)। পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রী বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন, এই সন্দেহের বশেই তাঁকে খুন করেছেন স্বামী এমডি আনসারুল। তার পর রেণুকার দেহ দু’টুকরো করে কেটে তিস্তা ক্যানালে ভাসিয়ে দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তা ক্যানেলে রেণুকার দেহাংশের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

পুলিশ সূত্রে খবর, শিলিগুড়ির কলেজ পাড়ায় একটি বিউটি পার্লারে কাজ শিখতে যেতে রেণুকা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। গত ২৪ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে রেণুকার পরিবার। তার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। আনসারুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, গত ২৪ ডিসেম্বর ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে ফাঁসিদেওয়ায় নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করেছেন আনসারুল। তার পর দেহ দু’টুকরো করে চটহাট সংলগ্ন তিস্তা ক্যানেলে ভাসিয়ে দিয়েছেন তিনি।

মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, ৬ বছর আনসারুলের সঙ্গে বিয়ে হয় রেণুকার। শিলিগুড়ির ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের দাদাভাই কলোনিতে তাঁরা থাকতেন। রেণুকার পরিবারের দাবি, শুরুতে দম্পতির মধ্যে সমস্যা থাকলেও পরে তা মিটে গিয়েছিল। তার পর থেকে সব ঠিকঠাকই ছিল। আত্মীয় মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘গতকাল রাতে পুলিশ ফোন করে জানায়, রেণুকার খোঁজ মিলেছে। ওঁর স্বামীই ওঁকে খুন করেছেন। ওঁদের একটা ছোট্ট ছেলে রয়েছে। দোষীর ফাঁসি চাই।

আরো পড়ুন :
>যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত
>গোমস্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু

এই ঘটনা প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, ‘‘ডিসেম্বরের ২৪ তারিখ শিলিগুড়ি থানায় মিসিং ডায়েরি দায়ের করা হয়। রেণুকা খাতুনের খুনের কথা স্বীকার করেছেন। দেহ দু’টুকরো করে তিস্তার ক্যানেলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল তল্লাশি চালাচ্ছে। মেয়ের পরিবারের লোকেরাও রয়েছেন।’’ বৃহস্পতিবার ধৃত স্বামীকে শিলিগুড়ি আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

জানুয়ারি ০৫.২০২৩ at ১৮:৩৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর