র্দীঘমেয়াদী ড্রোন হামলার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া: জেলেনস্কি

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনকে নিঃশেষ করার জন্য ইরানের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করে বোমা হামলার একটি দীর্ঘ অভিযানের পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। সোমবার জাতির উদ্দেশে রাত্রিকালীন ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই মন্তব্য করেন। জেলেনস্কি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে, রাশিয়া শাহেদ ড্রোন ব্যবহার করে দীর্ঘমেয়াদী হামলার পরিকল্পনা করছে। রাশিয়ার লক্ষ্য আমাদের জনগণ, আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, আমাদের জ্বালানি কাঠামোকে ধ্বংস করা।

তিনি বলেন, ইউক্রেনকে সন্ত্রাসবাদীদের লক্ষ্যে ব্যর্থ হওয়ার জন্য সবকিছু করতে হবে, যেমন তাদের অন্যরা ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে সোমবার ভোররাতেও কিয়েভ এবং আশেপাশের এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করে ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। নববর্ষের আগের দিন থেকে শুরু করে টানা তিনদিন কিয়েভ এবং অন্যান্য শহরগুলোতে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং কমপক্ষে ৫০জন আহত হয়। এবিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী ২০২৩ সালের প্রথম দুই দিনে রেকর্ড সংখ্যক রুশ ড্রোন ধ্বংস করেছে এবং সংখ্যাটি শীঘ্রই আরও বাড়তে পারে বলে আশা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, বছরের শুরু থেকে মাত্র দুই দিন অতিবাহিত হয়েছে এবং ইতিমধ্যে ইউক্রেনের ওপর দিয়ে গুলি করা ড্রোনের সংখ্যা ৮০ টির বেশি, অদূর ভবিষ্যতে এই সংখ্যা বাড়তে পারে।

আরো পড়ুন:
> নড়াইলে নৌকাডুবিতে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার
> সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহিম আর নেই

রাশিয়ান সামরিক বাহিনী ক্রমবর্ধমানভাবে তথাকথিত কামিকাজে ড্রোন ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে, যেগুলো বিস্ফোরক পূর্ণ থাকে। যদিও ইরানের শাহেদ ড্রোনগুলো তুলনামূলকভাবে ধীর গতিতে চলে এবং ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষার জন্য একটি সহজ লক্ষ্যবস্তু। কিন্তু ড্রোনগুলোকে গুলি করা হলে তা উচ্চ গতিতে উল্লম্বভাবে নেমে আসে, যার ফলে ব্যাপক ক্ষতি এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে। গত সেপ্টেম্বর থেকে ইউক্রেন জুড়ে শক্তি অবকাঠামো লক্ষ্য করে ব্যপকভাবে ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। সেময় কিয়েভ ও পশ্চিমা দেশগুলো দাবি করে ইরানের তৈরী ড্রোন ব্যাবহার করছে রাশিয়া। তবে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে ইরান। নভেম্বরে প্রথমবারের মত রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের বিষয়টি স্বীকার করেছিল ইরান।

তবে ইরানের দাবি ইউক্রেন আক্রমণ শুরু হওয়ার আগেই তারা রাশিয়াকে এগুলো সরবরাহ করেছিল। জেলেনস্কি রাশিয়ার সাথে তার ড্রোন সরবরাহের বিষয়ে তেহরানের অ্যাকাউন্ট প্রত্যাখ্যান করেছেন, বলেছেন যে শাহেদের গুলি করা সংখ্যা ইরান মস্কোকে সরবরাহ করেছে বলে দাবি করেছে তার চেয়ে অনেক বেশি। উল্লেখ্য, রুশ বাহিনীর তথাকথিত কামিকাজে ড্রোন ব্যাপকহারে ব্যবহারের অন্যতম কারন, ড্রোনগুলো তুলনামূলকভাবে সস্তা। এবং ইউক্রেন এই ড্রোন হামলাকে বাধা দেয়ার জন্য যে ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করে তা অনেক বেশি ব্যয়বহুল।

সূত্র: আলজাজিরা

জানুয়ারি ০৩, ২০২৩ at ২০:০২:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস