৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার, আওতায় আনতে কাজ করবে হুয়াওয়ে

[ঢাকা, ০১ ডিসেম্বর, ২০২২] ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে নিজের উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে অপারেটরদের সহায়তা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে হুয়াওয়ে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হুয়াওয়ের সিএসডি ফোরাম ২০২২ -এ আলোচনায় এই বিষয়টি উঠে আসে। হুয়াওয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে একাধিক দেশের মন্ত্রী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বৈশ্বিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।এই ফোরামে হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

এ সময় হুয়াওয়ে ওয়্যারলেস সল্যুশনের প্রেসিডেন্ট কাও মিং হুয়াওয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও অন্যান্যদের সাথে প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। ৫০ কোটি মানুষ যেন ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবা উপভোগ করতে পারেন এবং পাঁচ লক্ষ মানুষ অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন এজন্য ২০২৫ সালের মধ্যে উন্নত আইসিটি অবকাঠামো তৈরির অন্যতম লক্ষ্য অর্জনে হুয়াওয়ে বিভিন্ন অংশীজনদের সাথে কাজ করছে। লিয়াং হুয়া তার মূল বক্তব্যে এ বিষয়ে আলোচনা করেন।

ডিজিটাল আর্থিক সেবা সাফল্যের ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে, বাংলাদেশে একটি মোবাইল ই-ওয়ালেট পরিষেবা চালু করার ক্ষেত্রে বিকাশ এবং হুয়াওয়ের অংশীদারিত্ব এবং কীভাবে এই পরিষেবাটি বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সক্ষম করে তুলবে সে বিষয়টি লিয়াং উপস্থিত সবার সামনে তুলে ধরেন। আলোচনায় লিয়াং বলেন, “মোবাইল ইন্টারনেট যুগ থেকে আমরা ইন্টেলিজেন্ট যুগে ধীরে-ধীরে প্রবেশ করছি। এই যুগে সবকিছু পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকবে এবং সহজ যোগাযোগের জন্য কানেক্টিভিটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। কানেক্টিভিটি শুধুমাত্র ডিজিটাল অর্থনীতির ভিত্তি নয় বরং এটি প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার।

আরো পড়ুন :
পাইকগাছায় নব নির্মিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের উদ্বোধন
মানিকগঞ্জে নবজাতক শিশুর মরাদেহ উদ্ধার
যশোরে ট্রেনের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এ বিষয়গুলোকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য আমরা দু’টি ক্ষেত্রে এ খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অংশীজনদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। প্রথমত, আমরা ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বৃদ্ধিতে কাজ করছি এবং ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনতে ডিজিটাল পরিসরের উপযোগী দক্ষ প্রতিভা বিকাশে কাজ করছি। দ্বিতীয়ত, শক্তিশালী ডিজিটাল এবং বাস্তব অর্থনীতির জন্য ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরান্বিত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।

এ লক্ষ্যে, হুয়াওয়ে ২০টি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশে (চীন এবং ভারত ব্যাতীত) প্রায় এক দশমিক এক বিলিয়ন মানুষ এবং ২৯৩ মিলিয়ন বাড়িতে কানেক্টিভিটি সেবা প্রদান করেছে। হুয়াওয়ে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সুদৃঢ় ট্র্যাক রেকর্ড বজায় রেখেছে। ২০২১ সালে হুয়াওয়ে এ অঞ্চলে তিন লক্ষ এরও বেশি বেস স্টেশন রক্ষণাবেক্ষণে করেছে, যা ফোরজি নেটওয়ার্ক কভারেজ জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছানোর বিষয়টিকে ত্বরাণ্বিত করেছে। ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ডাউনলোডের হার এখন এ অঞ্চলে প্রতি সেকেন্ডে ১১০ মেগাবিট, যা আগের বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশে ইনফো সরকার প্রকল্পের তৃতীয় ধাপের অবকাঠামো নেটওয়ার্ক নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে হুয়াওয়ে। বর্ষাকালে ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও, হুয়াওয়ের ডেলিভারি কর্মীরা সাবট্রপিক্যাল ফরেস্ট, জলাভূমি, জলাবন সহ সরকারি প্রকল্পের অবকাঠামো নেটওয়ার্ককে ২,৬০০ গ্রামীণ জনপদে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। যা দেশের মোট ৬০ শতাংশ এলাকায় ছড়িয়ে গেছে। এটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী অনেক বাংলাদেশিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য অংশের সাথে সংযুক্ত করেছে। ২০২২ সালের শেষ দিকে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের জাতীয় ডিজিটাল সংযোগ প্রকল্পেও অংশগ্রহণ করবে, যেখানে সরকার, শিক্ষা ও আইসিটি অবকাঠামো নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ডিসেম্বর ০১.২০২১ at ১৮:৩৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর