কোন ধরনের রসুন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?

রসুন একটি জনপ্রিয় মসলা। এটি শুধু বিভিন্ন ধরনের রান্নার স্বাদই বাড়ায় না, এর রয়েছে অনেক ঔষধী গুণ। জেনে নিন যে ধরনের রসুন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকা ও ইউরোপে বিভিন্ন ধরনের রসুন ব্যবহার করা হয়। বাজারে সাধারণত যে রঙের রসুন পাওয়া যায় তা ছাড়াও আরও তিনটি রঙের রসুন দেখা যায়।

সাদা রঙের রসুন: এটি আমাদের সবচেয়ে বেশি পরিচিত। আমাদের দেশের বাজারে সাধারণত এই রঙের রসুনই কিনতে পাওয়া যায়। এর বাইরের দিকে কোয়াগুলো বড় হয় এবং ভিতরের দিকের কোয়ার মাপ ক্রমশ ছোট হতে থাকে।

বেগুনি রঙের রসুন: বেগুনি রঙের রসুনকে এক দেখায় অনেকে পিঁয়াজও ভাবতে পারেন। এই ধরনের রসুন খেতে বেশি সুস্বাদু। এছাড়াও সাধারণ রসুনের থেকে বেগুনি রসুনের আকারও বড় হয়। যদিও বাইরের বেগুনি রঙের খোসা থাকলেও, ভিতরে সাদা রঙের কোয়াই থাকে।

আরো পড়ুন :
ডায়াবেটিস হলে কী ধরনের চর্বি খেতে পারবেন
বুধবার কোথায় কখন লোডশেডিং
হিন্দি সিনেমায় অভিষেক করছেন জয়া আহসান

গোলাপি রঙের রং: গোলাপি রঙের রসুন সাধারণ রসুনের থেকে বেশ ছোট হয়। এই রঙের রসুনে খুব বেশি হলে ১০টি কোয়া থাকে। গোলাপি রঙের রসুন স্বাদে মিষ্টি হলেও, এর ঝাঁজ সবচেয়ে বেশি। এ কারণেই এটি হট অ্যান্ড সুইট গার্লিক নামেও পরিচিত। এই রসুন যে কোনো তরকারিতে যেমন স্বাদ বাড়িয়ে দিতে পারে, তেমনই স্বাস্থ্যগুণেও ভরিয়ে দেয়, কারণ এতে ভিটামিন এ, বি, সি, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন ও জিংকের পাশাপাশি আরও অনেক খনিজ আছে।

কালো রঙের রসুন: কালো রঙের রসুনকে এক দেখায় পচে যাওয়া রসুন মনে হতে পারে। কিন্তু তা একেবারেই নয়, বরং সাধারণ সাদা রঙের রসুনের থেকে এই রসুনের স্বাস্থ্যগুণ অনেক বেশি। খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এই রসুনের ব্যবহার করা হয়। তবে, কালো রঙের রসুন সরাসরি খেতে চাষ করা হয় না, বরং তৈরি করা হয়। সাধারণ রসুনকে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ও আদ্রতায় কিছু সপ্তাহ অথবা মাস ফেলে রাখা হলে, তা কালো রঙের রসুনে পরিণত হয়।

সব ধরনের রসুনই পুষ্টিগুণে ভরপুর ও খাবারের স্বাদ বাড়াতে ওস্তাদ। তবে সব দিক বিবেচনা করে বলাই যায় বেগুনি রঙের রসুন সবথেকে বেশি ভালো। কারণ, যদি ঠিকভাবে রান্না করা হয় এটি যে কোনো খাবারকে একটি আলাদা মাত্রায় পৌঁছে দিতে পারে। পাশাপাশি পুষ্টিগুণও বজায় থাকে।

নভেম্বর ৩০.২০২১ at ১০:৫৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর