খোলা জায়গায় মলত্যাগের হার দুই দশক ধরে বাংলাদেশে কমেছে। একসময় দেশে গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থা মারাত্মক নাজুক ছিল। নিরাপদ খাওয়ার পানি এবং মানববর্জ্য ও ব্যবহৃত পানি নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা ছিল না। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হলেও এখনও পূরণ হয়নি শতভাগ নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থার। পাকা কিংবা নিরাপদ টয়লেটের অপর্যাপ্ততার কারণে এখনও দেশের ২০ লাখ ৪৪ হাজার মানুষ খোলা জায়গায় মলত্যাগ করেন। জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের ১ দশমিক ২৩ শতাংশ মানুষ খোলা জায়গায় মলত্যাগ করে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, দেশের ৮ বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে সর্বোচ্চ বেশি মানুষ খোলা জায়গায় মলত্যাগ করেন রংপুরে এবং সর্বনিম্ন বরিশাল বিভাগে। রংপুর বিভাগের ৭ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ এখনও খোলা জায়গায় মলত্যাগ করেন এবং বরিশালে ২৭ হাজার। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৩ লাখ ১৭ হাজার, চট্টগ্রামে ২ লাখ ৯৯ হাজার, সিলেটে ২ লাখ ৯৩ হাজার, ময়মনসিংহে ১ লাখ ৯০ হাজার, ঢাকায় ১ লাখ ২৩ হাজার ও খুলনায় ৬০ হাজার।
প্রতিবেদন বলছে, ফ্লাশ করে বা পানি ঢেলে নিরাপদ নিষ্কাশন সম্বলিত টয়লেট সুবিধা ব্যবহার করে ৯ কোটি ২৫ লাখ ৫৫ হাজার মানুষ। আর কাঁচা, খোলা ও ঝুলন্ত টয়লেট ব্যবহার করে দেশের ৬৭ লাখ ২২ হাজার মানুষ। এ বিষয়ে ওয়াটার এইড বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ‘খোলা জায়গায় মলত্যাগ গত ৫ বছরে বাংলাদেশ অনেক কমিয়ে আনতে পেরেছে।
বন্যা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন কারণে খোলা জায়গায় মলত্যাগ একেবারে শূন্যে আনা সম্ভব না। নিরাপদ স্যানিটেশন পরিচালনা সূচকে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে, যা বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাধা।’উল্লেখ্য, অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা ও বৈশ্বিক স্যানিটেশন সংকট মোকাবিলায় প্রতি বছরের ১৯ নভেম্বর বিশ্ব টয়লেট দিবস পালন করা হয়।
নভেম্বর ২২, ২০২২ at ১১:৪৬:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস