অশালীন পোশাকের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের মন্তব্যকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন রাবি শিক্ষার্থীদের

দেশীয় মূল্যবোধ বিরোধী সংস্কৃতি ও অশালীন পোশাকের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের করা মন্তব্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একদল শিক্ষার্থী।

রবিবার (২৮ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তারা এ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

আরো পড়ুন :
চৌগাছায় স্ত্রীকে শ্বাস রোধে হত্যা করে স্বামী পালাতক

কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা দেশীয় মূল্যবোধ বিরোধী সংস্কৃতি ও পোশাকের নামে পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমদানিকারক এবং উচ্চ আদালতকে কটূক্তিকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিও জানান।

এসময় তারা ‘নগ্নতা কখনোই সভ্যতা হতে পারে না’, ‘শরীর দেখানো মানেই কি আধুনিক’, ‘নারীকে পণ্য বানানোর অপসংস্কৃতি নিষিদ্ধ করো’, ‘ইওর বডি ইওর চয়েজ বাট ইউ হ্যাভ নো রাইট টু অ্যানই আদারস’ প্রভৃতি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে ছিল।

মানববন্ধনে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়েদা খাতুন বলেন, ‘একটি মামলার পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত পোশাকের স্বাধীনতার নাম দিয়ে যারা পশ্চিমা অপসংস্কৃতি আমদানি করছে, তাদের বিরুদ্ধে বলেছেন। উচ্চ আদালত প্রশ্ন তুলেছেন, সভ্য দেশে এমন পোশাক পরে রেলস্টেশনে যাওয়া যায় কিনা? আমরা উচ্চ আদালতের এ সুন্দর পর্যবেক্ষণ ও বক্তব্যকে ধন্যবাদ জানাই।’

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী বেলি ফুল বলেন, ‘অশালীন পোশাক পরিহিতা নারীদের কারণে সাধারণ নারীরা প্রতিনিয়ত বিব্রত হন। অশালীন মানেই বর্জনীয়। তাই কোন ধরনের অশালীন সংস্কৃতি আমরা গ্রহণ করতে পারি না।’

মানববন্ধনে ফিসারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী কবিতা খাতুন বলেন, ‘আজকাল মিডিয়ায় নারী মানেই পণ্য। নারীকে পুঁজি করে বিভিন্ন পণ্য বিক্রির পসরা সাজিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এটা নারীত্বের জন্য চরম অপমান। নারীকে পণ্য বানানোর এ ঘৃণ্য অপসংস্কৃতি থেকে অবশ্যই বের হয়ে আসতে হবে।’

এসময় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গত ১৮ মে নরসিংদী রেলস্টেশনে পোশাকের কারণে গালিগালাজ ও মারধরের শিকার হন। এ ঘটনায় তরুণীকে হেনস্তা ও মারধরের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত মার্জিয়া আক্তার ওরফে শিলাকে পুলিশ ৩০ মে গ্রেপ্তার করে।

গত মঙ্গলবার শিলার জামিন আবেদনের শুনানিতে উচ্চ আদালত এ বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন তরুণী যে ধরনের পোশাক পরেছিলেন তা দেশের বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই কি না? আমাদের দেশের কৃষ্টি-কালচার অনুযায়ী গুলশান-বনানীর মতো অভিজাত এলাকার কোনো অনুষ্ঠানেও এ ধরনের পোশাক দৃষ্টিকটু।

আগস্ট ২৮,২০২২ at ১৯:৩৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ /আক /আদ /শই