রাজধানীর শাহজাহানপুরে সাংসারিক কলহের জেরে নিজের গায়ে নিজে আগুন দেওয়া অন্তঃস্বত্ত্বা পাপিয়া সারোয়ার মীম (১৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বুধবার (১ জুন) ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৯৫ শতাংশই দগ্ধ হয়ে ছিলো।
গৃহবধূর মামা রুমেল আহমেদ খান মৃত্যুর বিষয়টি রিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকালে হাসপাতালে থাকা স্বজনদের মাধ্যমে তিনি খবর পান মীমের মৃত্যুর। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলো সে। আজ ভোরে সেখানেই সে মারা যায়। এরপর মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়।
এর আগে গত শনিবার দুপুরে শাজাহানপুর বাগিচা ঝিল মসজিদ এলাকার একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় এই ঘটনাটি ঘটে। মীম ঢাকা সিটি ইন্টারন্যাশনাল কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলো।
ঘটনার দিন তার মা পারভিন আক্তার জানান, তাদের বাড়ি কুমিল্লা তিতাস উপজেলায়। স্বামী রাম্মিমের সঙ্গে ওই বাসায় ভাড়া থাকতো মীম। একই এলাকাতে মীমের বাবা-মাও থাকেন। তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কয়দিন যাবত ধরে তাদের সংসারের কলহ শুরু হয়। রাম্মিমের চরিত্র ভালো না। মীম তাকে বিভিন্ন কারণে ভালো হতে বলতো। তবে সে মীমকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। সহ্য করতে না পেরে মীম নিজের গায়ে আগুন দেয়।
রাম্মিম এলাকার একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকানে কাজ করেন। ঘটনার দিন তিনি জানান, ঘটনার আগের রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। দুজন দুজনকে সন্দেহ করতো। এসব কারণে জেদ করে সে নিজের গায়ে নিজেই আগুন দিয়েছে।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মীমের শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিলো। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিলো।
জুন ১,২০২২ at ১২:৩১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/শাশি