তালায় আওয়ামীলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ

তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ কর্মী ফরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানান অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শূন্য হওয়া বিবাহ রেজিস্টার (কাজী) নিয়োগ নিয়ে কখনও লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন আবার কখনও আওয়ামী লীগ কর্মীকে জামায়াত নেতাসহ রাজাকার পুত্র আখ্যায়িত করে অপপ্রচার চালিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা চালাচ্ছে একটি কূ-চক্রী মহল।

জানা গেছে, তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্টার (কাজী) শূন্য হওয়ার এরপর থেকে এই পদের জন্য একাধিক প্রার্থী বিভিন্ন মহেল লবিং চালাতে থাকে। গত ১৩ এপ্রিল তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যলয়ে অনুষ্ঠিত নিকাহ রেজিস্টার (কাজী) নিয়োগ বোর্ডে হয়। নিয়োগ বোর্ডে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) সংসদ সদস্য অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস সহ বোর্ডের সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

একাধিক ব্যক্তি জানান, নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হতেই একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় কথিত নেতারা। দাওয়ানীপাড়া এলাকার এক প্রার্থীর কাছ থেকে কতিপয় নেতারা ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশ্ববর্তী এলাকার অপর এক প্রার্থীর কাছ থেকে অন্য এক নেতা হাতিয়ে নিয়েছে ১২ লক্ষ টাকা। এভাবে একেক প্রার্থীর কাছ থেকে এক এক সিন্ডিকেট লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এব্যপারে তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন হয়েছে। সেখান থেকে ৩জনের একটি প্যানেল তৈরি করে ঢাকায় প্রেরন করা প্রক্রিয়াধিন। প্যানেলের মধ্যে কে নিয়োগ পাবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। কিন্তু এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে কোনও কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল, এটা দুঃখজনক।

আরো পড়ুন :
গাইবান্ধায় তদন্তে ছাত্রীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, তদন্ত প্রত্যাখ্যান অভিভাবকদের
ঈদযাত্রা ভোগান্তি মুক্ত রাখতে মানিকগঞ্জে সভা

শিরাশুনি গ্রামের প্রার্থী ফরিকুল ইসলাম জানান, তিনি স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন এবং মৌখিক পরীক্ষায় ভাল করেন। নিয়োগ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তার সব ধরনের শর্ত পুরন হয়েছে। এজন্য তিনি নিয়োগ পাবেন বলে আশাবাদী। ১জন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র টেম্পারিং থাকায় নিয়োগ বোর্ড তা ধরে ফেলে। একারনে তার নিয়োগ হবেনা এটা বুঝতে পেরে জামায়াত ইসলামী সমর্থীত ওই প্রার্থীসহ তার নেতারা নানাভাবে ফরিকুলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এমনকি ফরিকুলের পিতাকে যুদ্ধাপরাধী সাজিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে।

এবিষয়ে তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি শংকর কুমার দাশ, সাধারন সম্পাদক এম.এম. নুরুল্লাহ, ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি একএেম আশরাফুজ্জামান ও সাধারন সম্পাদক মো. মতিয়ার রহমান, সাবেক সভাপতি মো. রহমত আলী মোল্লা এবং সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবলু কর্তৃক দেয়া প্রত্যয়নপত্র সূত্রে জানা গেছে, শিরাশুনি গ্রামের মৃত. লুৎফর রহমান শেখ এর ছেলে ফরিকুল ইসলাম ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে ব্যপক প্রচার-প্রচারনা চালান এবং নৌকা প্রতিকে ভোট দেন। তিনি ও তার পরিবারের সকলে আওয়ামী লীগের সক্রীয় কর্মী এবং সমর্থক।

এছাড়া ফরিকুল ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা আওয়ামী লীগের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পটালন করে। অথচ, তথাকথিত নেতারা তাদের ঘুষ বানিজ্য হালাল করতে পরিকল্পিত ভাবে ফরিকুল ইসলাম এবং তার পিতার বিরুদ্ধে নানান কুৎসা রটাচ্ছে এবং হয়রানী করছে। এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগ কর্মী ফরিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে অপপ্রচারকারী কথিত নেতা ও দূর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার চেষ্টাকারী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এপ্রিল ২৪,২০২২ at ১৯:১০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মৃরাঅ/রারি