রাশিয়ার হামলার শঙ্কার মধ্যেই ইউক্রেনে জরুরি অবস্থা জারি

পূর্ব ইউক্রেনকে স্বাধীনতার স্বীকৃতির পর অঞ্চলটিতে যখন রুশ সেনারা অগ্রসর হচ্ছে তখন রাশিয়া সীমান্তে অবস্থান নিয়েছেন ইউক্রেনের সেনারা। রাশিয়ার কর্মকাণ্ড জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থি উল্লেখ করে বিশ্ব ভয়াবহ বিপদের মুখে বলে সতর্ক করেছেন সংস্থার মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। রাশিয়ার হামলার শঙ্কার মধ্যেই ইউক্রেনে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

ন্যাটোর অন্যতম সদস্য লাতভিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, পূর্ব ইউক্রেনকে স্বীকৃতির পর এরইমধ্যে অঞ্চলটিতে সেনা পাঠিয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও ইউক্রেনকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়, খুব শিগগিরই পূর্ণ দমে ইউক্রেনে হামলা চালাতে যাচ্ছে রাশিয়া। সে লক্ষ্যে বিপুল সেনার পাশাপাশি সাঁজোয়াযান ও রণসরঞ্জাম মোতায়েন করেছে মস্কো।

পশ্চিমাদের এমন সতর্কবার্তায় কালক্ষেপণ না করে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইউক্রেন। বুধবার পার্লামেন্টে এ নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন দেওয়া হয়। আগামী এক মাসের জন্য রাশিয়া ও বেলারুশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কড়াকড়ি আরোপের কথা জানানো হয়। জরুরি অবস্থা জারির পরপরই রুশ সীমান্তবর্তী খারকিভে পুলিশ, সেনাসহ নিরাপত্তা বাহিনীর বাড়তি সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়।

ইউক্রেন সেনাদের পাশাপাশি দেশটির সীমান্তবর্তী পোল্যান্ডের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার হামলার শঙ্কার মধ্যেই পূর্ব ইউরোপের নিরাপত্তার স্বার্থে পোল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে ঘাঁটি গেড়েছে মার্কিন বিমান বাহিনীও।

এদিকে রুশ হামলার শঙ্কার মধ্যেই আবারো পশ্চিমাদের কাছ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেন্সকি। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে কিয়েভকে আরও বড় পরিসরে সামরিক সহযোগিতার পাশাপাশি প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম ও অন্যান্য সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

আরও পড়ুন:
যশোরের পল্লীতে এক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের চেষ্টা থানায় মামলা
https://fb.watch/bmJZuetXyE/

জাতিংঘের সাধারণ সভায় বর্তমান ইউক্রেন পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়। সংস্থার মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার কর্মকাণ্ড জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থি। একইসঙ্গে দেশটির কারণে বিশ্ব এখন ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন বলেও সতর্ক করেন তিনি।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, সাম্প্রতিক বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা। আমাদের বিশ্ব এখন হুমকির মুখে। আশা করি আমাদের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির যেন মোকাবিলা করতে না হয়।

এদিকে জার্মানি, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ তাদের স্থাপনায় ইউক্রেনের পতাকার আলো দিয়ে দেশটির সঙ্গে একাত্মতা ও সংহতি জানিয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ২৪.২০২২ at ১০:০০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ