ত্বক-প্লাস্টিকে কত ঘণ্টা বাঁচে ওমিক্রন?

বিশ্বজুড়ে প্রধান উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনার আফ্রিকান ধরন ওমিক্রন। সম্প্রতি বাংলাদেশেও সমানে ছড়ি ঘুরাচ্ছে এ ধরনটি। নতুন পরীক্ষায় শনাক্ত হচ্ছে ৭০ শতাংশ। মানুষের ত্বকে ২১ ঘণ্টা এবং প্লাস্টিকে ৮ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে করোনার অতি সংক্রমণশীল ধরন ওমিক্রন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নেও মাঠ পর্যায়ে আরও কঠোর হতে হবে প্রশাসনকে।

জাপানের কিয়েটো ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিনের একদল গবেষক বলছে, ভাইরাস বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে সকল ধরনকে ছাড়িয়েছে ওমিক্রন।

গবেষণায় দেখা গেছে, ‘প্লাস্টিক ও মানুষের ত্বকের উপরিভাগে, আলফা, বিটা, ডেল্টা এবং ওমিক্রন ভেরিয়েন্টগুলি উহানের স্ট্রেনের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি সময় বেঁচে থাকে। মানুষের ত্বকে সংক্রমণতা বজায় রাখে ১৬ ঘণ্টারও বেশি সময়।

আরো পড়ুন:
ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণ নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
নোংরামি থেকে চলচ্চিত্রকে বাঁচান: পপি

চিকিৎসকরা বলছেন, অন্যান্য ধরনের থেকে ওমিক্রন প্লাস্টিকে বেঁচে থাকে ১৯৩ দশমিক ৫ ঘণ্টা বা ৮ দিনের সমান। এছাড়া মানবদেহের ত্বকে বাঁচে ২১ দশমিক ১ ঘণ্টা। তাদের মতে পরিবেশগত স্থিতিশীলতায় দেশেও দ্রুত ছড়াচ্ছে এ ধরনটি। তাই শুধু সচেতনতা নয় করোনার বিধিনিষেধে সম্পৃক্ত করতে হবে জনসাধারণকে। যেহেতু ত্বকে দীর্ঘক্ষণ বেঁচে থাকে ওমিক্রন তাই গবেষকরা বলছেন ওমিক্রন শনাক্তে নাকের সোয়াব থেকেই কার্যকর ফলাফল পাওয়া যায়।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ান উর রহমান বলেন, আমরা জানি পিসিআর করলে সেখানে ১০০ জনের পরীক্ষা করলে ৬০ জন শনাক্ত হবে। বর্তমানে নাক থেকে সোয়াব নেওয়ার বিষয়টি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত। এটা বিশ্বজুড়ে অনুমোদিত।

স্থায়ীর দিক থেকে ওমিক্রন সকল ধরনকে ছাড়িয়ে গেলেও অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলির সংস্পর্শে আসলে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে ত্বক থেকে সম্পূর্ণরূপে নিষ্ক্রিয় হয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

জানুয়ারি ২৫.২০২২ at ১৭:৫৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ