নির্বাচন সামনে করে ভিলেজ পলিটিক্স তুঙ্গে, মন্দিরের জমি দখলের অপবাদ দিয়ে সম্প্রীতি বিনষ্টের পাঁয়তারা

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গ্রামাঞ্চলে ভিলেজ পলিটিক্স এখন তুঙ্গে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা একে অপরকে ঘায়েল করতে সাজানো হচ্ছে নানা রকমের কেচ্ছা কাহিনী। সোস্যাল মিডিয়া ও অনলাইনেও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এ সব গুজব আর অসত্য খবরগুলো। হরিণাকুন্ডুর রঘুনাথপুরে প্রার্থীর সমর্থকের বিরুদ্ধে এক নারী কর্মীকে ধর্ষনের অভিযোগ মামলা ও সুদ কারবারীদের পক্ষে বিপক্ষে ইউপি সদস্য প্রার্থীর এ ধরণের নোংরামো ঝড় তুলেছে।

এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নে জঘন্যভাবে সম্প্রাদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এ সব করা হচ্ছে আসন্ন ইউপি পরিষদ নির্বাচনকে সামনে করে। ২০০৮ সালে নির্মিত মার্কেটটি কালীমন্দিরের জমিতে প্রতিষ্ঠিত বলে ধোপাবিলা গ্রামের একটি মহল নানা ভাবে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে।

আরো পড়ুন:
প্রতি মাসেই ভাঙে সেতু ; বন্ধ যোগাযোগে জনদূর্ভোগ চরমে
বেড়ায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থিকে নির্বাচন থেকে সরে যাবার হুমকি

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বর আমজাদ হোসেন ২০০৮ সালে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু কনক কান্তি দাস ও এসিল্যান্ডের অনুমতি নিয়ে রাস্তার পাশের জমিতে বিধি মোতাবেক মার্কেট নির্মান করেন। এই জমির সঙ্গে তার আরো ৫৭ শতক জমি রয়েছে। জমির সামনের পতিত জমি তারই ভোগ দখল করার নিয়ম রয়েছে। সেই হিসেবে তিনি মার্কেটটি নির্মান করেন। মার্কেটের জমি থেকে ধোপাবিলা গ্রামের কালীমন্দির দুই’শ গজ দুরে থাকার পরও আমজাদ হোসেনকে বিপাকে ফেলা ও এলাকায় সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষরা। ধোপাবিলা গ্রামের কালীমন্দিরের দায়িত্বে থাকা অচিন্ত কুমার মজুমদার বলেন, মার্কেটটি কোন ভাবেই কালীমন্দিরের জায়গায় নয়। যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা এলাকার শান্তি বিনষ্ট করতে চাই।

মন্দিরের সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তম কুমার মজুদমদার বলেন, আমজাদ মেম্বরের মার্কেট থেকে অনেক দুরে মন্দিরটি অবস্থিত। তাছাড়া এ নিয়ে আমাদের বা এলআকার হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন আপত্তি নেই। যারা ইউপি নির্বাচনে মেম্বরের ভোট করবে মুলত তারাই এ নিয়ে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে বলে উত্তম কুমার দাবী করেন। কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বর আমজাদ হোসেন অভিযোগ করেন, এ নিয়ে তার কাছে অনেকেই চাঁদাবাজী করার চেষ্টা করছে। মন্দিরের জমি দখলের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা টাকা দাবী করছে। বিষয়টি তিনি র‌্যাব ও পুলিশকে জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

নভেম্বর ১৭.২০২১ at ১৭:০৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/কল/জআ