পুলিশ কর্মকর্তা সোহেলের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতারণার ঘটনায় বনানী থানার বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলা হয়।

এতে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বোন ও ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিনসহ মোট ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান সমকালকে বলেন, ইসতিয়াক হোসেন টিটু নামের ভুক্তভোগী এক গ্রাহক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। সেখানে মোট ৭৬ লাখ ৪১ হাজার ১০২ টাকার প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। তার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সোহেল ও সোনিয়া ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন- মাসুকুর রহমান, নাজনীন নাহার বীথি, আমান উল্লাহ, কাওসার, কামরুল হাসান, আবদুল কাদের, নুরজাহান ইসলাম সোনিয়া ও রুবেল খান।

এজাহারে বলা হয়েছে, বাদীসহ কয়েকজন ভুক্তভোগী গ্রাহক অগ্রিম টাকা দিয়েও পণ্য পাননি। এর মধ্যে তারা জানতে পেরেছেন, ই-অরেঞ্জের মালিকানা বদল হয়েছে। নতুন মালিক তাদের পণ্য সরবরাহে অনীহা প্রকাশ করেছেন এবং আগের মালিকদের ব্যাপারে কোনো তথ্য দিচ্ছেন না। উল্টো প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, গ্রাহকের টাকা নিয়ে পণ্য না দেওয়ার অভিযোগে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানাকে আসামি করা হয়েছে। ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি হয় গত ১৭ আগস্ট।

আরো পড়ুন :
আওয়ামী লীগ নেতার নগ্ন ভিডিও নিয়ে তোলপাড়
ছেংগারচর পৌর নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে চান মাহবুবুর রহমান সেলিম 

প্রতিষ্ঠানটির মালিকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় করা মামলাটির বাদী তাহেরুল ইসলাম নামের ভুক্তভোগী এক গ্রাহক। ওই মামলায় প্রতিষ্ঠানের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্লাহ চৌধুরী কারাগারে রয়েছেন। বীথি আক্তার ও কাউসার আহমেদ নামের দুই আসামি এখনও পলাতক।

সেপ্টেম্বর  ০৯.২০২১ at ০৯:৩০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সম/রারি