থানচিতে ২টি সেতুতে ফাটলে চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ

বান্দরবানে থানচি উপজেলা সদরে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে দু,টি সেতু নির্মাণের ৬ বছরের মধ্যেই এলাকাবাসীর চলাচলে ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই দু,টি সেতুতে ফাটলে ৩বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই। এতে পাহাড়ে উৎপাদিত ফসল পরিবহনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চাষিদের। বর্তমানে সেতুটিতে হেঁটে চলাচলেও ঝুকিঁ অবস্থাতে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় (পিআইও) সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে ছান্দাক পাড়া যাওয়ার রাস্তায় অর্ধযুগে মধ্যে তিনটি কালভার্ট সেতু নির্মাণ করেন দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা অধিদপ্তর। প্রতিটি সেতুতে ২৭ লক্ষ টাকা করে তিনটি কালভার্ট সেতু নির্মাণের ৮১ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। এসময় নির্মাণের ত্রুটি থাকলেও শতভাগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বার্ষিক প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এবং ফাটল ধরা সেতুটি ঠিকাদার নুমংপ্রু মারমাকে বাস্তবায়নে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়।

এদিকে এলাকার স্থানীয়রা জানান, ফাটল ধরার সেতু দিয়ে ছান্দাক পাড়া, জিনিঅং পাড়া, শাহজাহান পাড়া, তংক্ষ্যং পাড়া, হাবরু হেডম্যান পাড়াসহ অর্ধশত পাড়াবাসী যাতায়াত করতেন। এছাড়া পাহাড়ে বসবাসরত এলাকাবাসীদের বাগানের আম, কাজুবাদাম, কমলা, জুমে ফসলাদি মার্ফা, আদা, হলুদ, কলাসহ বিভিন্ন ফলাদি নিয়ে সদর বাজারে বাজারজাত করেন। কিন্তু সেতুটি ফাটল ধরায় বাজারজাত করতে না পারায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকদের। এমনকি সেতুটিতে পারাপার করতে ঝুকিঁ নিয়ে করতে হয় বলে জানান স্থানীয়রা।

আরো পড়ুন:
রাঙ্গুনিয়ার দুই ইউপির কার্যক্রম চলে ভাড়া কক্ষে, ভোগান্তির যেন শেষ নেই
সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা, গুলিবিদ্ধ ৯

সদর ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চাইসিং উ মারমা বলেন, গত বছরে সেতুটি প্রথম ফাটল ধরার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদেশের ইউপি সদস্যা ডলি চিং মারমা সংস্কার করেছিল। এবছরে আবার একই স্থানে ফাটল ধরায় দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। বিষয়টি উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বারবার উপস্থাপন করা হয়েছে কিন্তু তাদের কথা আমলে নেওয়া হয়নি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, সেতুটিতে ফাটল ধরার বিষয়ে আমি অবগত নই। স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে এখন মাত্রই জানলাম। ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী বলেন, উপজেলা সদর থেকে ছান্দাক পাড়া পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ সড়কের কার্পেটিং চলছে। গত বছর এলজিইডি প্রকৌশলীকে দু,টি কালভার্ট সেতু প্রাক্কলনে দেওয়ার বলা হলেও বাজেটস্বল্পতায় সংস্কারের সম্ভব হয়নি।

তিনি আরো বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় চলতি বছরে সেতুটি ভেঙ্গে নির্মাণ করতে না পারলেও উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে সংস্কার করা উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আগষ্ট ১৮.২০২১ at ১৩:৫২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/চঅম/জআ