জলবসন্তের মতো সহজে ছড়ায় করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এটি অন্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে রোগীর আরও কঠিন জটিলতার সৃষ্টি করছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) একটি অভ্যন্তরীণ নথিতে এ তথ্য বলা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ‘সিডিসি’র একটি প্রেজেন্টেশনে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন নিয়েছেন এ রকম মানুষও ভ্যাকসিন না নেওয়াদের মতো একইভাবে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে দিতে পারেন। যিনি ভ্যাকসিন নিয়েছেন তিনি ভাইরাসটি দ্বারা সংক্রামিত হলে তার শরীরে যে পরিমাণ ভাইরাস থাকে একই পরিমাণ ভাইরাস ভ্যাকসিন না নেওয়া আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরেও দেখা যায়।’
এতে বলা হয়, এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুর আশঙ্কা ১০ শতাংশ কমিয়ে আনে ভ্যাকসিন। এছাড়া ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশেরও বেশি কঠিন অসুস্থতাকে প্রতিহত করতে পারে। আর সংক্রমণের ঝুঁকি তিন শতাংশ কমিয়ে দেয়। তাই করোনার ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষ এ রোগ থেকে তুলনামূলক বেশি নিরাপদ। তবে এটি সংক্রমণ ঠেকানোর ক্ষেত্রে কম কার্যকর।
সিডিসির পরিচালক রোশেলি ওয়ালেনস্কি বলেন, করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে বেশি সংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে একটি। এটি জলবসন্ত ও হামের মতোই দ্রুত ও সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষদেরও এ ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। এজন্য সবাইকে সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকতে হবে। এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত একজন মানুষ গড়ে আরও আট থেকে নয়জনকে সংক্রামিত করতে পারে। সংক্রমণ ঘটানোর হারের একক হিসেবে ধরা হয় ‘আর জিরো’কে। ৮ বা ৯ মানের ‘আর জিরো’ সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন রোগের সংখ্যা খুব বেশি নেই।
জুলাই ৩০.২০২১ at ১৫:৪০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর