বিল বকেয়া থাকায় বাংলাদেশ ওয়াটার সাপ্লাই ও স্যানিটেশন প্রকল্পের পানি সরবরাহ বন্ধ, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কারনে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বাংলাদেশ ওয়াটার সাপ্লাই ও স্যানিটেশন মেসার্স আদেল এন্টারপ্রাইজ নামে প্রকল্পের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া এলাকার পাইপ লাইন প্রকল্পের পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

সোনারগাঁও সরকারি কলেজ সংলগ্ন পানি সরবরাহ লাইনটি গত এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে। পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় অত্র ইউনিয়নের বিশেষখানা, বড়নগর, ষোল্লপাড়া, খুলিয়াপাড়া, দমদমা, গোহাট্টা, ফুলবাড়িয়া, ডহরপাড়া, নগর সাদিপুর, বাড়িচিনিশ, ইউসুফগঞ্জসহ ১২ গ্রামের মানুষ রান্নাবান্না, গোসল ও কাপর ধোয়াসহ নানাধরনের গুরুত্বপুর্ন কাজ করতে পারছে না। আশে পাশে পুকুর ও খাল-বিল না থাকার কারনে পানির অভাবে সাধারণ মানুষ তাদের নিত্যদিনের প্রয়োজন মিটাতে পারছে না।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম-এর সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে মোগরাপাড়া এলাকায় পানি সরবরাহ লাইনটির বকেয়া এক লক্ষ চলিশ হাজার টাকা। এত টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকলে কিভাবে হয়, আমাদেরও অফিসে হিসাব দিতে হয়। তাই এর একটি ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। বিল বকেয়া থাকায় আমরা অনেক চাপের মধ্যে আছি।

এদিকে এক সপ্তাহ ধরে আমাদের মোগরাপাড়ার পানি সরবরাহ লাইনটিতে পানি নাই। এব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ফোন রিসিভ করেনা। আমরা এলাকাবাসী ঠিকমত মানসম্মত পানি থেকে বঞ্চিত। পানির রং হলুদ, সরবরাহ পানি না থাকায় আমরা অত্র এলাকাবাসী মানবেতর জীবন যাপন করছি। অনেকেরই বাড়িতে পানির মটর নাই, সেজন্য কি তারা পানি ব্যবহার করবে না? আশেপাশের বাড়ীর সাধারণ মানুষকে কয়েকশ পানির পাইপ কিনে পানি সরবরাহ দিচ্ছেন স্থানীয় সাংবাদিক মাসুম মাহমুদ। তিনি নিজেও ভূক্তভোগী।

তাই তিনি দ্রুত উক্ত পানির সরবরাহের লাইনটি সচল করার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বাংলাদেশ ওয়াটার সাপ্লাই ও স্যানিটেশন মেসার্স আদেল এন্টারপ্রাইজ নামে প্রকল্পের পরিচালককে অনুরোধ জানান।

জানা গেছে, ২০১৫-১৬ ইং অর্থবছরে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বিশেষখানা এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বাংলাদেশ ওয়াটার সাপ্লাই ও স্যানিটেশন মেসার্স আদেল এন্টারপ্রাইজ নামে প্রকল্পটি স্থাপিত হয়। শুরু থেকেই জনসাধারণকে মানসম্মত পানি সরবরাহ দিতে পারছিল না প্রকল্পটি। এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা লোকজনের সাথে কথা বললে তারা জানায়, তাদের কর্মচারী পানির বিলের টাকা তুলে বিলের প্রায় আড়াই লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। মাসে মাসে বিদ্যুৎ বিল দিতে না পারায় বিদ্যুৎ অফিস পানি সরবরাহ লাইন বন্ধ করে দেয়।

আরো পড়ুন:
পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশী যুবককে গুলি করে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ
ভোলায় ৩৩৩-তে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চাওয়ায় দিনমজুরের উপর সন্ত্রাসী হামলা

মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু জানান, প্রকল্প প্রধানের সাথে কথা বলেছি। পানির লাইনের বিল বকেয়া তুলে জরুরীভাবে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে লাইনটি সচল করতে বলেছি। প্রয়োজনে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে পানির বকেয়া তুলতে সহযোগীতা করবো।

মোগরাপাড়া পানির লাইন প্রকল্প সদস্য শিপন মেম্বার জানান, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে কয়েকদিনের মধ্যে পানির লাইনটি সচল করা হবে।