হ্যাকিং গুরুপের ১০ সদস্য আটক

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার চরচৌগাছি গ্রাম থেকে ডিজিটাল হ্যাকিং গ্রুপের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে আটক করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। এ সময় এই গ্রুপের দলনেতা মহিদুল রাজবাড়ি থেকে আগত কিছু সদস্যসহ সর্বমোট ১০ জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি ডেস্কটপ, ৯ সি পি ইউ, ১০টি মোবাইল, ৭টি হার্ডডিস্ক ও ১টি মডেম উদ্ধার করা হয়।

শ্রীপুর থানা পুলিশের বরাত দিয়ে জানা যায়, আটককৃতরা হলেন- ১.মোঃ মহিদুল ইসলাম (২০) পিতাঃ মোঃ চাঁদ শেখ সাং চর চৌগাছি থানাঃ শ্রীপুর। ২.মোঃ সবুজ শেখ (১৬) পিতাঃ মোঃ আকিদুল শেখ, সাং চর চৌগাছি থানাঃ শ্রীপুর। ৩.মোঃ মিজানুর রহমান, পিতা- আঃ আজিজ শেখ, সাং চর চৌগাছি,থানা – শ্রীপুর। ৪. মোঃ জাহিদুল ইসলাম (২৫), পিতা- চাঁদ আলী শেখ, সাং চর চৌগাছি, থানা- শ্রীপুর।

৫. মোঃ রানা বিশ্বাস (১৮) পিতাঃ মোঃ ফজলে বিশ্বাস,সাং চর চৌগাছি, থানাঃ শ্রীপুর। ৬.হৃদয় বিশ্বাস (১৬) পিতাঃ আতিয়ার বিশ্বাস, সাং চর চৌগাছি থানা- শ্রীপুর। ৭. জয় মাহমুদ (২২) পিতাঃ মোঃ আখিল উদ্দিন, সাং চর চৌগাছি, থানাঃ শ্রীপুর। ৮, মোঃ শান্ত মোল্লা (১৬) পিতা বকুল মোল্লা, সাং কালিনগর, কছুন্দি, মাগুরা সদর, সর্ব জেলা মাগুরা।

৯. মোঃ সজিব (১৮) পিতাঃ আঃ রব মোল্লা, সাং বিল সুন্দরপুর, থানাঃ কালুখালী, জেলাঃ রাজবাড়ি। ১০.মোঃ আলমগীর(১৮) পিতাঃ মোঃ মোকছেদ আলী মন্ডল, সাং তালুকপাড়া থানাঃ বালিয়াকান্দি জেলাঃ রাজবাড়ি। অভিযুক্ত সদস্যরা দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে তাদের ফেসবুক আইডি হ্যাক সহ বিভিন্ন ডিজিটাল হ্যাকিং কার্য পরিচালনা করে আসছে।

আরও পড়ুন:
জীবননগরে বৃক্ষ রোপণ কাজের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার
করোনায় রাজশাহী অঞ্চলে মৃত্যুহীন একদিন
ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে ভূক্তভোগী ও তার স্বজনদের হুমকি

২৯ আগষ্ট রাত ৯ টার দিকে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আহমেদ মাসুদ (বিপিএম) সাংবাদিকদের জানান, ২৯ আগস্ট গভীর রাতে সংবাদ আসে একটি সংঘবদ্ধ হ্যাকিং চক্র মাগুরার শ্রীপুরের চর চৌগাছি এলাকায় মানুষের মোবাইল নাম্বার ফেসবুক হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রতারনা করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে।

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে আমার নেতৃত্বে, এস আই জাহাঙ্গীর হোসেন, এস আই রাসেল এর সহযোগিতায় শ্রীপুর থানা পুলিশের চৌকস একটি টিম নিয়ে গভীর রাতে ঐ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি।

অভিযান চলাকালে এই গ্রুপের দলনেতা মহিদুলসহ রাজবাড়ি থেকে আগত কিছু সদস্য সর্বমোট ১০ জনকে ৯টি ডেস্কটপ, ৯ সি পি ইউ, ১০টি মোবাইল, ৭টি হার্ডডিস্ক ও ১টি মডেম উদ্ধার করি এবং তারা যেহেতু তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সেই কারনে ডিজিটাল আইনে একটি মামলা রুজু করি। যার মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

৩০ আগস্ট, ২০২০ at ১১:৪৭:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমএম/এমএএস