ধারনার চেয়েও বেশি ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করেছে চীন

চীনা সেনাবাহিনী লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার সীমানা পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৪২৩ মিটার পর্যন্ত এলাকায় প্রবেশ করতে পেরেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি । ১৯৬০ সালে চীন ভারতীয় অংশের যে পরিমাণ ভূমি দাবি করেছিল, এখন তার চেয়েও বেশি ভূমি দখলে নিতে সক্ষম হয়েছে তারা।

সংবাদ মাধ্যম এনডটিভি আরো জানিয়েছে, গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় অংশে রয়েছে চীনা বাহিনীর ১৬ টি তাঁবু, একটি বড় আশ্রয়কেন্দ্রে ও অন্তত ১৪ টি গাড়ি।

সোমবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘর্ষের ১০ দিন পর গত ২৫ জুন তোলা উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, পিছনো দূরের কথা, গালওয়ান উপত্যকায় পিপলস লিবারেশন আর্মির উপস্থিতি ক্রমশই জোরদার হচ্ছে। ভারতের অভ্যন্তরে ৪২৩ মিটার ঢুকে গেছে চীন।

হাই রেজোলিউশন স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, ষাটের দশকের সেই রেখার অন্তত ৪২৩ মিটার উত্তরে ভারতীয় ভূখণ্ডে ২৫ জুন চীনা বাহিনীর শিবিরের অবস্থান। আশপাশের পাহাড়ের উঁচু জায়গাগুলিও চীন সেনার নিয়ন্ত্রণে।

আরও পড়ুন :
ঠাণ্ডা বা ফ্লু থেকে নিস্তার মিলবে এক কোয়া রসুনেই!
মধ্যরাতে আচমকা মাটির নিচে ঢুকে গেল ৫ বাড়ি
শিশুর করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ যা করবেন
কৃমির যন্ত্রণায় ভুগছেন? সহজেই মুক্তি মিলবে আট ঘরোয়া উপায়ে
মাস্ক না ফেস শিল্ড, করোনা প্রতিরোধে কোনটি কার্যকর?

১৯৬০ সালে ‘রিপোর্ট অব দ্য অফিসিয়্যালস অব দ্য গভর্নমেন্টস অব ইন্ডিয়া এন্ড দ্য পিপল’স রিপাবলিক অব চায়না অন দ্য বাউন্ডারি কোশ্চেন’ এ বেইজিং এর পক্ষ থেকে যে পরিমাণ ভূখণ্ড দাবি করার কথা জানা গেছে, তার চেয়ে এর পরিমাণ বেশি।

রোববার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীনের নাম উল্লেখ না করে বলেন, লাদাখে ভারতের দিকে যারা খারাপ নজর দিয়েছে, তাদের আমরা উপযুক্ত জবাব দিয়েছি। ভারত বন্ধুত্বের মর্যাদা রাখতে জানে। কিন্তু শত্রুকেও উপযুক্ত জবাব দিতে পারে।

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনা সেনাদের মধ্যে উত্তেজনার পর গত ১৫ জুন উভয় পক্ষ সংঘাতে জড়ায়। এতে ভারতের ২০ সেনা নিহত ও অপর ৭৬ জন আহত হয়। ভারত দাবি করে আসছে, চীনের অন্তত ৪৫ জন হতাহত হয়েছে। তবে চীন সরকারিভাবে কোনো হতাহতের খবর জানায়নি। দুই দেশই পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করার অভিযোগ এনেছে।

সূত্র: এনডিটিভি

জুন ৩০, ২০২০ at ১৩:৪৮:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ডিবি/এমএআর