মিথ্যা মামলা ও হুমকিতে এক দম্পতি ও পরিবার

মিথ্যা হয়রানি মূলক অপহরণ মামলা ও একের পর এক হুমকিতে মাগুরার মহম্মদপুরের তল্লাবাড়িয়া গ্রামের মরিয়ম ও মিরাজ নামে এক দম্পতি ও মিরাজের বাবা সরকারি কর্মচারি হারুন অর রশীদ রীতিমত ভীতিকর অবস্থায় রয়েছেন। প্রাপ্ত বয়স্ক মরিয়মের প্রেমের বিয়ে মেনে নিতে রাজী না হয়ে জামাইয়ের বাবা সরকারি কর্মচারি হারুন এর নামেও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। প্রাণভয়ে ওই নব দম্পতি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি চেয়ে তারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।

মরিয়ম জানায়- মিরাজ মাদারিপুরে চাকরি করতেন। সে সুবাদে তাদের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৬মার্চ শরীয়া মেতাবেক মাগুরার বিনোদপুর কাজি অফিসে তাদের বিবাহ হয়। কিন্তু প্রথম অবস্থায় মেরিয়মের পরিবার বিয়ে মেনে নিলেও পরে চাচাদের প্ররোচনায় স্বামী মিনহাজুল ইসলাম মিরাজ এর নামে একটি অপহরণ মামলা দেয়। এ সময় মরিয়মের চাচা স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলকে দিয়ে মরিয়ম ও মিরাজকে আটক করে মরিয়মকে বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় তারা মরিয়মকে নানাভাবে অত্যাচার করে। তারা সবসময় মরিয়মকে ভাতের মধ্যে বিশ খায়িয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তারা মরিয়মকে হত্যা করে তার স্বামী মিরাজকে ফাঁসিয়ে দেবে বলে ষড়যন্ত্র করে। এ সময় তারা মরিয়মের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় । এ অবস্থায় গত ১মে মরিয়ম আবার পালিয়ে মাগুরায় চলে আসে। এ সময় থেকেই মরিয়মের বাবা ও চাচারা তার সরকারি চাকরিজীবি শশুর, গৃহিনী শাশুড়ী ও স্বামীর নামে মিথ্যা অপহরন মামলা দায়ের করে।

আরো পড়ুন:
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নারী নিহত-আটক -১
বনগাঁর হোটেলে আসমা হত্যা: ঢাকা থেকে প্রেমিক খুনি কাশেম আটক
ঈদের আগেই বিকাশে সাড়ে ১২ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি

 

প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এক ভিডিও বার্তা ও লিখিত আবেদনে মরিয়ম জানায় , জীবনের ভয়ে আমদের বিভিন্ন যায়গায় পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। আমাদের জীবনে কোন স্বাধীনতা নাই। আমি ১৮ বছর পুর্ণ করেছি তারপর আমার কোন স্বাধীনতা নেই? আমাদের ভীতির মধ্যে চলতে হচ্ছে। এখন আমার শশুর শাশুড়ীর সাথেও সম্পর্ক নাই, আমাদের দিন এখন খেয়ে না চলছে। এরপরও ভাড়াটে লোক দিয়ে আমাদেরকে সব সময় তারা করে ফিরছে আমার পরিবারের লোকজন। এই মুহুর্তে আমার শশুর শাশুড়ীর সাথে কোন সম্পর্ক নাই। আমাদের জীবন খুবই কষ্টের মধ্যে চলছে।

মাগুরার পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে মরিয়ম আরো বলেন, আমাদের একটু সাহায্য ও বাঁচার ব্যবস্থা করেন। এ ঘটনায় যে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। ওই মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

গত ২২মে ২০২০ইং মরিয়মের শশুর মাগুরা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের গাড়ি চালক মোঃ হারুন অর রশিদ মিরাজের বিয়ের কথা উল্লেখ করে মরিয়মের পরিবারের মোঃ আফজাল, সাহাবুদ্দিন, ফজলুল হক, সিরাজুল এর বিরুদ্ধে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেখাচ্ছে বলে মাগুরা সদর থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেছেন, যার জিডি নং-১০২৯, তারিখঃ ২২/০৫/২০২০ইং।

এ ব্যাপারে মাগুরা সদর থানার ওসি জয়নাল আবেদিন জানান , এ বিষয়ে একটি সাধারন ডায়রি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জুন ০১, ২০২০ at ১৫:৩৩:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমএম/আরএইচ