হতাশায় ভুগছেন পাইকগাছার আম চাষীরা

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আশা-হতাশার দোলাচলে আম চাষীর স্বপ্ন দুলছে। করোনার প্রভাবে আমের বাজার পাবে কি না তা নিয়ে চাষীরা হতাশায় ভুগছেন।

আম গাছের মুকুলের ডগায় ডগায় দোল খাচ্ছে আমের গুটি। দিন দিন বড় হচ্ছে আমের গুটি। বাগানে আমের গুটি দেখে আনন্দ আত্মহারা বাগান মালিক ও চাষী। আমের গুটিতে দোল খাচ্ছে আম চাষীর স্বপ্ন। নানা জাতের আম, স্বাধ এবং রংবেরঙের আমের রং লেগেছে চাষীর মনে। সোনালী এই স্বপ্ন পূরণে চাষীরা বাগান পরিচর্যায় ব্যস্থ সময় পার করছে। তবে মনে রয়েছে শংঙ্কা করোনা প্রাদুর্ভাব ও বছরের শুর থেকেই ঝড় বৃষ্টি লেগেই আছে। বৈশাখের তান্ডব, বৃষ্টি, ঘূর্নিঝড় ও শীলা বৃষ্টি আমের শত্রু“। প্রকৃতির সাথে মিতালী করে চাষীরা সোনালী স্বপ্ন বুকে ধারণ করে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্থ রয়েছেন। আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষীরা।

আরো পড়ুন :
সোলাদানা ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিলের চাল বিতরণ
কর্মহীন মানুষের মাঝে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির খাদ্যসামগ্রী বিতরন
সুনামগঞ্জে ২৪ ঘন্টায় ৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানাগেছে, উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে ছড়ানো ছিটানো আম গাছ রয়েছে। এলাকায় স্থানীয় জাতের পাশাপাশি আম রুপালী, হিম সাগর, গোপাল ভোগ, বোম্বাই লতা, মল্লিকা, ল্যাংড়া, ফজলিসহ বিভিন্ন জাতের আম বাগানের সংখ্যা বেশি। তবে এ এলাকার গদাইপুরের বোম্বাই লতার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। বাগান গুলোতে আমের মুকুল থেকে যে পরিমান গুটি ধরেছে তাতে করে প্রচুর ফলনও হবে আমের এমনটা আশা করছেন চাষীরা। গদাইপুর গ্রামের আম চাষী মোবারক ঢালী জানান, গাছে মুকুল আসার আগে বাগান পরিচর্যা শুর করছেন। মুকুল আসার পরে ও আগে দু’দফা ছত্রাক নাশক স্প্রে করেছেন। তবে বৃষ্টি হলেই ছত্রাকনাশক ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়েছে। বাগান মালিক আব্দুল কাদের জানান, গাছে মুকুল আসার পর থেকে বাগান পরিচর্যা শুর করেছেন।

এবার মুকুল থেকে প্রচুর পরিমাণ গুটি ধরেছে। বৃষ্টি হলে ছত্রাকজনিত রোগ আমের গুটি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বৃষ্টি হলে রোগবালাইয়ের আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় ঔষধ স্প্রে করা হবে। এ বছর করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না বিধায় বেশি পারিশ্রমিক দিয়ে বাগান পরিচর্যা করায় অতিরিক্ত অর্থ খরচ হচ্ছে । এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বছর আম গাছে প্রচুর পরিমাণ মুকুল এসেছে। এ সব মুকুল থেকে আমের সর্বোচ্চ ফলন পেতে কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে । তারপরও আমের ভাল ফলন পাওয়ার আশা করেছেন তিনি। এ বছর আম বাগান থেকে ২২ হাজার ১৮০ মেট্রিকটন আমের ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমের বাম্পার ফলন থেকে আম বাজারজাত করে কৃষকরা লাভবান হবেন। তবে করোনার প্রভাব আমের উপর তেমন কোন প্রভাব পড়বে না। তবে বড় ধরণের কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে পাইকগাছার আম চাষীরা বাম্পার ফলন পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এপ্রিল ২৩, ২০২০ at ১৭:২৬:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ইএইচ/এএডি