যবিপ্রবিতে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপন

গ্রন্থাগারের গুরুত্ব ও মর্যাদার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং সবার মধ্যে বই পড়ার আনন্দ ছড়িয়ে দিতে শোভাযাত্রাসহ নানা আয়োজনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) পালিত হয়েছে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২০। দিবসটির এবারের প্রতিবাদ্য ছিল ‘পড়ব বই গড়ব দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।’

দিবসটি উপলক্ষে আজ বুধবার বেলা ১১টার সময় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এক আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ-প্রশাসনিক ভবন ঘুরে আবার গ্রন্থাগার ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে গ্রন্থাগার ভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, ক্লাস থেকে হলে, আবার হল থেকে ক্লাসে গেলে হবে না, লাইব্রেরিতেও যেতে হবে। তাহলে একটি জ্ঞানের তথ্য খুঁজতে গেলে আরও ১০টি নতুন জ্ঞানের তথ্য পাওয়া যায়। প্রকৃত মানুষ হতে হলে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। ফেসবুকে কম সময় দিতে হবে। সেখানে হয়তো চটকদার কিছু তথ্য পাওয়া যায়, তবে এর বিশ্বাসযোগ্যতার ঘাটতি আছে। তাই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

অধ্যাপক ড. মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, শিক্ষকদেরও যথাযথ পাঠ দেওয়ার জন্য লাইব্রেরিমুখী হতে হবে। এটা অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। যেন প্রতিদিন একবার করে আমরা লাইব্রেরিতে যেতে পারি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে একটি জ্ঞানসম্পন্ন, সৃষ্টিশীল ও উদ্যমী জাতি গঠনে আমাদের লাইব্রেরিমুখী হতে হবে।
আরও পড়ুন: ৩ বছর পর চবির ডিন নির্বাচন, লড়বেন ৩ দলের ২২ প্রার্থী

জানা যায়, বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতির দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও দাবির প্রেক্ষিতে গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। ২০১৮ সাল থেকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এ দিনটি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

আলোচনা পর্ব শেষে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান যবিপ্রবির গ্রন্থাগারিক মোহা. আমিনুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো: আহসান হাবীব, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: সিরাজুল ইসলাম, যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ড. মো: আমজাদ হোসেন, পরিচালক (হিসাব) মো: জাকির হোসেন, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার মন্ডল, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল হক, পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মৌমিতা চৌধুরী, উপ-গ্রন্থাগারিক স্বপন কুমার বিশ্বাস, সহকারী গ্রন্থাগারিক মো. মেহেদী হাসান, মো: জাহাঙ্গীর কবীরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।

দেশদর্পণ/এআর/এসজে