৩ বছর পর চবির ডিন নির্বাচন, লড়বেন ৩ দলের ২২ প্রার্থী

তিন বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ডিন নির্বাচন। এ নির্বাচনে লড়বেন ৩ দলের ২২ জন প্রার্থী।

২৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও ডিন নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং অফিসার কেএম নুর আহমদের কাছে ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন।

গতকাল মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করায় ২২ জনের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।

চুড়ান্ত তালিকানুযায়ী আওয়ামী লীগ-বামপন্থী শিক্ষক সমর্থিত হলুদ দলের ৭ জন, বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক সমর্থিত সাদা দলের ৩ জন, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের ৫ জন এবং হলুদ দলের ৭ জন বিদ্রোহী প্রার্থী এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে হলুদ দল থেকে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ, জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু নছর মুহাম্মদ আব্দুল মাবুদ ডিন নির্বাচনে লড়বেন।

বিজ্ঞান অনুষদে হলুদ দল থেকে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক বেনু কুমার দে, সাদা দল থেকে একই বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. শামছু উদ্দিন আহমদ, জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-আমীন ডিন নির্বাচনে লড়বেন।
আরও পড়ুন: মরিয়মনগর আন্ত:প্রাথমিক বিদ্যালয় শুদ্ধসুরে জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

এছাড়া হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বিজ্ঞান অনুষদের বর্তমান ডিন বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সফিউল আলম এবং পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান ডিন নির্বাচনে লড়বেন।

ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে সাদা দল থেকে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শওকতুল মেহের, জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক এসএম নসরুল কদির ডিন নির্বাচনে লড়বেন।

এ অনুষদে হলুদ দলের কোনো প্রার্থী নেই। তবে হলুদ দলের দু’জন বিদ্রোহী প্রার্থী মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক এসএম সালামত উল্ল্যা ভূঁইয়া এবং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন ডিন নির্বাচনে লড়বেন।

আইন অনুষদে হলুদ দল থেকে আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নির্মল কুমার সাহা এবং হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান ডিন নির্বাচনে লড়বেন। এ অনুষদে সাদা দল এবং জাতীয়তাবাদী ফোরামের কোনো প্রার্থী নেই।

জীববিজ্ঞান অনুষদে হলুদ দল থেকে ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হোসাইন, সাদা দল থেকে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান এবং জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ডিন নির্বাচনে লড়বেন।

এ অনুষদে ডিন নির্বাচনে লড়বেন হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী অধ্যাপক ড. অলক পালও।

ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে হলুদ দল থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম এবং হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রাশেদ মোস্তফা ডিন নির্বাচনে লড়বেন। এ অনুষদে সাদা দল ও জাতীয়তাবাদী ফোরামের কোনো প্রার্থী নেই।

মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদে হলুদ দল থেকে ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ-উন-নবী এবং জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে মেরিন সায়েন্স ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. এম. মারুফ হোসেন ডিন নির্বাচনে লড়বেন। এ অনুষদে সাদা দলের কোনো প্রার্থী নেই।

সমাজ বিজ্ঞান অনুষদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় হলুদ দলের প্রার্থী রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকতা কেএম নুর আহমদ বলেন, ডিন নির্বাচনে আটটি পদের বিপরীতে ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার
হলুদ দল থেকে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ সালাউদ্দিন, সাদা দল থেকে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান, জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে মো. সফিকুল ইসলাম ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নান, স্বতন্ত্র প্রার্থী রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অছিয়র রহমান এবং হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রাহমান নাসির উদ্দিন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন।

তিনি বলেন, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে ডিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ১০ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চবি শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে অগ্রিম ভোট দেওয়া যাবে।

দেশদর্পণ/এমএম/এসজে