অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি না হওয়ায় পুকুরের মধ্যে গলা টিপে স্ত্রীর বড় বোনকে হত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। ভারতের হুগলিতে এ ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে অভিযুক্ত শফিকুল নামের এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০ নভেম্বর রীনা খাতুন নামের তরুণী হুগলির ডানকুনির বাগপাড়ার বাড়ি থেকে বের হন। রাত ১০টা পর্যন্ত বাড়ি ফেরেননি তিনি। পরে রীনার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করে। সেই দিনই রাত একটা নাগাদ মীরপুরের একটি পানাপুকুরের মধ্যে একজনের পায়ের আঙুল ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় ডানকুনি থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রীনার দেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে রীনার সঙ্গে শেষবার ফোনে কথা হয় তার ছোট বোনের স্বামী সফিকুলের। বিপদের আঁচ পেয়ে সফিকুল আগেই এলাকা ছাড়ে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) গভীর রাতে সফিকুল তার বাড়িতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। বাড়িতে ঢোকার আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশি জেরায় সফিকুল জানায়, বাড়িতে স্ত্রী না থাকায় তার বড় বোন রীনাকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠায়। বাড়ির কাছেই নির্জন জায়গায় সফিকুলের সঙ্গে দেখা হয় রীনার। জোর করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করে সফিকুল। তবে তাতে বাধা দেন রীনা। ধস্তাধস্তির মাঝে দু’জনই পাশের পানাপুকুরে পড়ে যায়। রীনা প্রাণভয়ে চিৎকার শুরু করে। পানাপুকুরের মধ্যে তার গলা চেপে ধরে সফিকুল। কিছুক্ষণের মধ্যেই রীনা মারা যান। তা বুঝতে পেরে সফিকুল বাড়িতে চলে আসে। গভীর রাতে সে জানতে পারে পুলিশ শ্যালিকা রীনার দেহ উদ্ধার করেছে। তখন সে ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
রীনার বাবা শেখ সমীর জানান, এই ঘটনার পর তিনি আর তার ছোট মেয়েকে জামাইয়ের বাড়িতে পাঠাবেন না। বড় মেয়ের খুনির চরম সাজা দাবি করেন তিনি।
ডিসেম্বর ১, ২০১৯ at ১০:৫০:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/বাপ্র/এআই
