৩ দিনের রিমান্ডে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক

আদাবর থানার অস্ত্র মামলায় ঢাকা মহানগর যুবলীগ (দক্ষিণ)এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম ভূঁইয়াকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত গতকাল শনিবার এই আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ শাহজাহান আজ রোববার বলেন, অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার ওয়াহিদুল আলম ভূঁইয়াকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি জিজ্ঞাসাবাদে একেক সময় একেক ধরনের কথাবার্তা বলছেন। অস্ত্রের ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য দিচ্ছেন না।

গত ২১ নভেম্বর রাজধানীর আদাবর থানা এলাকার শেখেরটেক পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটির সামনে থেকে ওয়াহিদুলকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-২ (র‍্যাব)। পরে তাঁর বাসা থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র‍্যাব-২ এর ডিএডি ছিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে র‍্যাব কর্মকর্তা সিদ্দিকুর বলেন, গত ২১ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় নিয়মিত টহল ডিউটিতে দায়িত্বে ছিলেন। র‍্যাব-২ কার্যালয় থেকে আসা সাদা পোশাকধারী সদস্যদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন, ওয়াহিদুল আলম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারী যুবলীগের জাতীয় কংগ্রেস চলাকালে সমাবেশস্থলে নাশকতার পরিকল্পনা করছে। সেখানে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে র‍্যাব সদস্যরা যাওয়ার পর কয়েকজন যুবক দৌড়ে পালিয়ে যায়। ওয়াহিদুল আলম ভূঁইয়াকে সেখানে পাওয়া যায়। কী কারণে জমায়েত জানতে চাইলে ওয়াহিদুল আলম জানান, তাঁর সমর্থকদের নিয়ে যুবলীগের সম্মেলন নিয়ে কথা বলছিলেন। কাঙ্ক্ষিত পদ না পেলে যুবলীগের কংগ্রেসে ত্রাস সৃষ্টি করবেন। তিনি যুবলীগের পদপ্রত্যাশী।

আরো পড়ুন:
ঢাকা টাইমসের সম্পাদককে হুমকি, নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি

যুবলীগ নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

মামলার এজাহারে র‍্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, ওয়াহিদুল আলম ভূঁইয়ার দেখানো মতে তাঁর বাসার বেড রুমের তোশকের নিচ থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। অস্ত্রের কোনো লাইসেন্স নেই।

২০১৩ সালের ২৮ মে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওয়াহিদুল আলম। ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই রাতে গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ড নামে একটি বিপণিবিতানের সামনে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খানকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা আজ রাতে বলেন, রিয়াজুল হক খান হত্যাকাণ্ডের পর তাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওয়াহিদুল আলম গ্রেপ্তার হয়েছেন কি না, তা তিনি জানেন না।

চলমান শুদ্ধি অভিযানে অস্ত্র ও মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ (দক্ষিণ)এর বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।

নভেম্বর ২৫, ২০১৯ at ০০:২৬:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/প্রআ/এএএম