বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে গণধর্ষন, আটক ৩

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে এক কিশোরীকে গণধর্ষন করা হয়েছে। সোমবার রাত ১২টায় উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদুর বেপারী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা কিশোরী ভোলাকোট ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির মোঃ নুরনবীর মেয়ে।

খবর পেয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে লক্ষ্মীপুর জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) স্পীনা রানী প্রমানিক ও থানা অফিসার ইনসার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে প্রথমে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতাল ও পরে শাররীক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য লক্ষীপুর জেলা সদর হাসপাতাল ওয়ান স্পট ক্রাইসিস সেন্টারে প্রেরন করেন। এবং ঘটনার সাথে জড়িত ধর্ষক ঈমন, রাসেল ও শরীফকে আটক করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির মোঃ নুরনবীর মেয়ে নুশরাত জাহানের সাথে পাশ্ববর্তী ভাদুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদুর গ্রামের ওমর আলী মিঝি বাড়ির মৃত ইব্রাহীমের ছেলে শাওনের সাথে প্রায় একবছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।

এরই সুবাদে শাওন প্ররোচনায় পালিয়ে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে নুশরাত সোমবার দিবাগত রাত ১১টায় নিজের প্রয়োজনীয় জামা কাপড় ও নগদ টাকা নিয়ে পশ্চিম ভাদুর গ্রামের বেপারী বাড়িতে শাওনের বন্ধু ইমনের ঘরে আসে।
আরো পড়ুন:
শার্শার বাগআঁচড়ায় ভাই ভাই বেকারীতে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা 
রাবির ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
সাকিবদের দুষলেও আশাবাদী পাপন

পরে শাওন তাকে বিয়ে না করে তার পাশ্ববর্তি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে তার বন্ধু ঈমন, রাসেল ও শরীফসহ ধর্ষন করে তার সাথে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা রেখে দেয়। পরে নুশরাত বেপারী বাড়ির নাহার নামের এক মহিলার ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে গ্রাম ও স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত ভাদুর গ্রামের বেপারী বাড়ির আঃ মতিনের ছেলে মোঃ ঈমন হোসেন ও একই গ্রামের অজিউল্যা ভূঁইয়া বাড়ির মোঃ তোতা মিয়ার ছেলে শরীফ এবং উজির আলী বেপারী বাড়ির আতর মিয়ার ছেলে রাসেল সহ ৩ জনকে আটক করেছে।
গ্রাম পুলিশ মিজান জানান, নাহার বেগম আমাকে জানালে আমি থানা পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মো. আনোয়ার হোসেন জানান, মুমূর্ষ অবস্থায় ধর্ষনের শিকার এক কিশোরীকে হাসপালে ভর্তি করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষা নিরীক্ষারপর প্রকৃত তথ্য জানানো যাবে।

রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনার সাথে জড়িত ঈমন,শরীফ ও রাসেল সহ ৩জনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

অক্টোবর ২১, ২০১৯ at ২১:০৯:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/আকা/তআ