পদ্মা ১৬ বছর পর বিপদসীমার ওপরে বইছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে

দীর্ঘ ১৬ বছর পর ভেড়ামারা-পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে প্লাবিত হয়েছে বিস্তৃর্ণ এলাকা।

পানি বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে অনেক ফসলি জমি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন শত শত মানুষ। হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সর্বশেষ ২০০৩ সালে এই পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছিল।

হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে ভেড়ামারা উপজেলার মসলেমপুর, সোলেমানিয়া, ঢাকাপাড়া, ইসলামপুর, কাজীপাড়া, রায়টা ফয়জুল্লাহপুর গ্রাম সহ দৌলতপুর উপজেলার চিলমারি, রামকৃষ্ণপুর, ফিলিপনগর, মরিচা ইউনিয়নের প্রায় ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে, ভেড়ামারা শহর রক্ষা রাঁধ ছাড়াও বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ, ঘর-বাড়ী, গাছপালা, পান বরজ, উঠতি পাট, কলা বাগান এবং সবজি ক্ষেত। পদ্মা নদীতীরবর্তী এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পিযুষ কৃষ্ণ কৃন্ডু জানিয়েছেন, ফারাক্কার সব কটি লকগেট খুলে দেওয়ায় হঠাৎ করেই আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে পানি। হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তরাঞ্চলীয় পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুর ৩টা পর্যন্ত হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে পানির লেবেল ছিল ১৪ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার। যা আজ বুধবার (২ অক্টোবর) ১৪ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার ।

আরো পড়ুন:
ইবিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনে লড়বে ২৭ জন
কোটি টাকায় নির্মিত রেল ভবনের ঠিকাদার যুবলীগ নেতা রমজান

২৪ ঘণ্টায় পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি বেড়েছে ১৮ সেন্টিমিটার। বুধবার সকাল দশটায় পানি ১৪ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল নয়টায় পরিমাপ অনুযায়ী বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।

এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে ভেড়ামারা,দৌলতপুর পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ। পানি বাড়ায় অপর দিকে ঈশ্বরদীর সাঁড়া, পাকশী ও লক্ষিকুন্ডু ইউনিয়নের চার শ হেক্টর জমির সবজি ও ফসল তলিয়ে গেছে। আরও নতুন নতুন এলাকায় প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাবিবন্দী মানুষ তাদের গৃহসামগ্রী উঁচু জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে।

পাকশী ইউনিয়নের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম জানান, তাদের ইউনিয়নের রূপপুর সড়কের নিচু অংশে ফসলসহ জমি তলিয়ে গেছে। প্রতিদিনই পাকশীর বিভিন্ন স্থানে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে ফসলি জমি।

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল মারুফ জানান , ভেড়ামারার মসলেমপুর গ্রামের প্রায় ১৫০ পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। যে কোন সময় পানি ঢুকে পড়তে পারে। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন হুমকির মুখে থাকা এলাকা এবং পানি বন্দী গ্রাম গুলো পরিদর্শন করেছেন।

অক্টোবর ০২, ২০১৯ at ১৪:০১:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/ভোকা/এএএম