টিকটক হৃদয়ের সহযোগী অনিক গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা ও মাদক চোরাকারবারি টিকটক হৃদয়ের অন্যতম সহযোগী অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিককে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাতিরঝিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিদেশি পিস্তল, দেশি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ মাদকসহ তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এসময় তার অন্য চার সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করেছে তারা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

খন্দকার মঈন বলেন, ‘মাদক সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা হিরো অনিক কঠোর লকডাউনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক সরবরাহ করত। হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী ও টিকটক ভিডিও বানাতে আসা তরুণদের হয়রানি করে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ডাকাতি করত। সে ও তার সহযোগীরা মগবাজার, মধুবাগ, পিরেরবাগ, নতুন রাস্তা, পেয়ারাবাগ, চেয়ারম্যান গলি, আমবাগান ও হাতিরঝিল এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল।’

হিরো অনিকের বিরুদ্ধে হত্যা,মাদক চোরাচালান, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলাসহ ৯টি মামলা চলমান রয়েছে।

টিকটক হৃদয়ের সঙ্গে অনিকের দীর্ঘদিনের সখ্যতার বিষয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অনিক বলেছে, সে হৃদয়কে নিয়মিত মাদক সরবরাহ করত। তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেও সহযোগিতা করেছে।’

চলতি বছরের জুনে ভারতের বেঙ্গালুরুতে সম্প্রতি বাংলাদেশের এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়।

শারিরীক নির্যাতনের সময় ২২ বছরের ওই তরুণীকে দল বেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় বেঙ্গালুরু পুলিশ অনিকসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে। তাকে গ্রেপ্তারের পর আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী নানা চক্রের বিষয়ে নানা তথ্য পেতে শুরু করে পুলিশ। তদন্তে বেরিয়ে আসে মাদক চোরাচালানের বিভিন্ন তথ্য।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘কিশোর বয়স থেকেই অনিক নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন সময়ে সে গ্রেপ্তার হলেও বের হয়ে এসে আবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। ২০১৬ সালে আলোচিত আরিফ হত্যাকাণ্ডের পর তার উত্থান হয়।’

হিরো অনিকের ২০- ২৫ জন সহযোগী রয়েছে।এদের মধ্যে শহীদুল ইসলাম, আরিফ, সোহাগ, হিরাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

খন্দকার আল মঈন জানান, শহীদুলের বিরুদ্ধে মাদক,ডাকাতিসহ ৬টি, আরিফের বিরুদ্ধে ২টি, সোহাগের বিরুদ্ধে ৩টি ও হিরা বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টাসহ ২টি মামলা চলমান রয়েছে।

আরো পড়ুন:
কেশবপুরে অসহায় দরিদ্রদের মাঝে ইউপি সদস্য কামালের শাক-সবজী বিতরণ
ঈদে লকডাউন প্রসঙ্গে যা বললেন প্রতিমন্ত্রী

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে আমরা বেশ কয়েকটি মাদক সিন্ডিকেটের বিষয়ে তথ্য পেয়েছি। পরে আমরা অভিযান পরিচালনা করব।’

জুলাই,০৫.২০২১ at ১৯:৪৫:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমটি/এসআর