রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ১৫ বছর ধরে প্রতিবন্ধি হয়েও সরকারী কোন ভাতার আওতায় আসেনি উপজেলার রুপকারী ইউনিয়নের মোঃ ইমরান (১৬), প্রতিবন্ধি পরিচয় পত্র থাকার পরও বিভিন্ন জনের ধারে ধারে ঘুরে এক কাউন্সিলর কে ২ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েও সরকারী ভাতার আওতায় আসতে পারেনি।
প্রতিবন্ধি এই ছেলেটি, উপজেলার রুপকারী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ আবুল কালামের ছেলে ইমরান জন্মের তিনমাস পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বাক ও শারিরিক প্রতিবন্ধি হয়ে যায় বলে নিশ্চিত করে ইমরানের বাবা মোঃ আবুল কালাম। তিনি বলেন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের ধারে ধারে ঘুরেও একটি ভাতার কার্ড পাইনি।
তিন বছর পূর্বে বাঘাইছড়ি পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোঃ আলাল উদ্দিন ভাতার কার্ড দেয়ার কথা বলে ২ হাজার টাকা নিয়েও একটি কার্ড দেয়নি। বর্তমানে আমার ৬ ছেলে মেয়ে নিয়ে আমি অনেক কষ্ট করে ৪ কিলো বাঙ্গালী পাড়ায় বসবাস করছি। কেউ যদি আমার ছেলেটাকে একটি প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ড করে দেয় সারা জীবন দোয়া করবো।
২৩ নবেম্বর শনিবার সকাল ১১ ঘটিকায় ৪ কিলো বাঙ্গালী পাড়ায় উলঙ্গ অবস্থায় দেখা যায় প্রতিবন্ধি ইমরানকে পরে স্থানীয় জনসাধারনের সাথে কথা বলে তার পরিবারের খোজ নিয়ে কথা হয় ইমরানের বাবা দিনমজুর আবুল কালামের সাথে তখন অস্রুসজ্জল চোখে কথা হয় প্রতিবেদকের সাথে।
বিষয়টি নিয়ে রুপকারী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ হালিমের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা অনেকেই প্রতিবন্ধি আছে কিন্তু পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় আমরা সবাইকে ভাতার আওতায় আনতে পারি না। তবে আগামীবার অগ্রঅধিকার ভিত্তিতে ইমরানের ভাতার কার্ড করে দিবো।
বিয়ষটি নিয়ে কথা বলতে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা জয়েস চাকমার মোঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইমরানের পরিবারকে তার কার্যালয়ে পাঠাতে বলেন, তিনি ভাতার আনার চেষ্টা করবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আহসান হাবিব জিতুর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সহসায় ইমরানকে প্রতিবন্ধি ভাতার আওতায় আনার আশ্ব্যাস প্রদান করেন।
২৪ নভেম্বর, ২০১৯ at ১৬:৪৪:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/নুমোঃ/এজে