আমেরিকাকে ৩৩০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিল ইরানি আদালত

ছবি- সংগৃহীত।

ইরানে ১৯৮০ সালের ‘নোজে’ ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারবর্গকে ৩৩০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছে ইরানের একটি আদালত।

ওই সামরিক অভ্যুত্থানে যারা নিহত হয়েছেন বা বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন তাদের পরিবারবর্গ ২০২২ সালে মার্কিন সরকার এবং আরো সাত বিবাদির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন। খবর পার্সটুডের।

আরো পড়ুন :

> বেনাপোলে স্বামীর কুড়ালে আঘাতে স্ত্রী খুন
> সর্বজনীন পেনশনে শীর্ষে প্রবাস, তলানীতে সমতা

আদালতে এ সংক্রান্ত ফৌজদারি মামলার রায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের ‘পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা কার্যকর করার’ জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

ইরানের বিচার বিভাগের বার্তা সংস্থা মিজান বলেছে, ওই অভ্যুত্থানের বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি ও তাদের আইনজীবীদের বক্তব্যের শুনানি শেষে মার্কিন সরকারকে ‘বস্তুগত ও নৈতিক’ ক্ষতির জন্য ৩০ মিলিয়ন ডলার এবং ‘শাস্তিমূলক ক্ষতি’ হিসেবে ৩০০ মিলিয়ন ডলার দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

আদালতের রায়ে বলা হয়, “সুতরাং নোজে বিদ্রোহে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারবর্গকে জরিমানা ও ক্ষতিপূরণ বাবদ মার্কিন সরকারকে ৩৩০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে।”

১৯৮০ সালে ইরানে সদ্য প্রতিষ্ঠিত ইসলামি সরকার ব্যবস্থা উৎখাত ও বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে নোজে বিদ্রোহের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ওই পরিকল্পনায় সাবেক শাহ সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার অফিসার ও চাকুরিজীবীরা জড়িত ছিল। ১৯৮০ সালের ৯ ও ১০ জুলাই ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় হামেদান শহরের নিকটবর্তী নোজে বিমান ঘাঁটি থেকে শত শত সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে ওই বিদ্রোহের অবসান ঘটে।

২০১৭ সালে ইসলামি বিপ্লবী তথ্য কেন্দ্র জানায়, ১৯৮০ সালের ওই বিদ্রোহের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রধান ভূমিকা পালন করে। বিদ্রোহে জড়িত বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা ও পাইলট নাসের রোকনির স্বীকারোক্তির সূত্র ধরে আমেরিকার হাত থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে। রোকনি জানান, বিদ্রোহের জন্য মার্কিন সরকার ইরানি সেনা কর্মকর্তাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছিল।

আগস্ট ২৭, ২০২৩ at ১৩:২৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দৈই/এর