কুবিতে জাতীয় শোক দিবস পালিত

নানা আয়োজনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৯টায় কালো ব্যাজ ধারণ ও ৯ টা ৪৫ মিনিটে শোক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, বিভাগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শাখা ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন একে একে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আরো পড়ুন :

> শার্শা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস পালিত
> থানচিতে জাতীয় শোক দিবসের খাদ্য সামগ্রী ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে বিজিবি 

ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নং কক্ষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শোক দিবস কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. আহসান উল্যাহর সভাপতিত্বে এবং ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহা.  হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. আসাদুজ্জামান।

এসময় উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার যে ষড়যন্ত্রের সেটি ১৫ই আগস্ট কিংবা তাৎক্ষণিক নয়। বরং অনেকদিন ধরেই এ ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও একাধিকবার হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু ঘাতক গোষ্ঠী সফল হতে পারেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একক নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে বহুদূর এগিয়েছে। সমগ্র পৃথিবী তার সাক্ষী।

তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষক। শিক্ষক হিসেবে আমাদের প্রধান কাজ গবেষণা করা। আমরা সুবিধাভোগী হতে চাইনা। যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন আপনাদের ষড়যন্ত্র টিকিবে না। যারা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে বাধা হবে তাদের শক্তভাবে দমন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রমোশনের জন্য গবেষণা লাগবে। কেউ নকল গবেষণা নিয়ে আসবেন না। যারা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক আছেন, আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি এমন কোন কাজ করবেনা যার জন্য সুনাম ক্ষুন্ন হয়।

এসময় উপ-উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনো কারো কাছে মাথানত করে নাই। ১৫ আগস্ট আমাদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হওয়ার শক্তি যোগাবে। ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু বঙ্গবন্ধু নই, তারা বঙ্গবন্ধুর রক্তকে ও কন্ঠস্বরকে হত্যা করতে চেয়েছিলো। যেই কারণে শিশু শেখ রাসেল থেকে শুরু করে পরিবারের সকল সদস্যকে তাঁরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। ভাগ্যক্রমে দেশে না থাকাতে বেঁচে যায় জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা। আজ এই কারণেই আমরা বঙ্গবন্ধুর রক্তকে এখনো ধারণ করতে পারছি।

তিনি আরও বলেন, তার সারাজীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে নানা কর্মকাণ্ডে দেখা যায় তিনি কিভাবে বাঙ্গালি জাতিকে ধারণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপিত। সবার কাছে আমার উদাত্ত আহ্বান সত্যিকার অর্থ আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, হল শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্ধ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। সর্বশেষ কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

আগস্ট ১৫, ২০২৩ at ১৮:১৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/তুই/ইর