১৮ বছরের দাম্পত্য়ে ইতি, সোফির সঙ্গে পথ আলাদা হল জাস্টিন ট্রুডো

ছবি- সংগৃহীত।

১৮ বছর পর বিয়ে ভাঙল কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর। ২০০৫-এ সোফির সঙ্গে সংসার শুরু করেছিলেন তিনি। দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে।

বিয়ে ভাঙল কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর। স্ত্রী সোফির সঙ্গে ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে ইতি টানলেন তিনি। বুধবার সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজেই সেকথা জানান ট্রুডো। বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সোফিও। তবে গত কয়েক বছর ধরেই দু’জনকে একসঙ্গে খুব কম দেখা গিয়েছে।

আরো পড়ুন :

> উগান্ডায় নৌকাডুবিতে নিহত ২০
> ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা বাতিলে হাইকোর্টের রুল ২ সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

২০০৫-এ সোফি গ্রেগোয়ারকে বিয়ে করেন ট্রুডো। এই দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে। তাঁদের বয়স ১৫, ১৪ ও ন’বছর। বর্তমানে ট্রুডোর বয়স ৫১। অন্যদিকে ৪৮-এ পা দিয়েছেন সোফি। ২০২০-র বিবাহ বার্ষিকীতে সোফিকে My Rock বলে উল্লেখ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, স্ত্রীকে সেরা সঙ্গী ও বান্ধবী বলেছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, ট্রুডো বাবা পিয়েরও ছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। ক্ষমতায় থাকাকালীন তাঁরও স্ত্রী মার্গারেটের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সালটা ছিল ১৯৭৭। সেদিক থেকে দেখতে গেলে ট্রুডো পরিবারের জাস্টিন দ্বিতীয় ব্যক্তি, যাঁর ক্ষমতায় থাকাকালীন ভাঙল সংসার।

বুধবার বিয়ে ভাঙার পর Instagram-এ ট্রুডো লেখেন, “সোফি আর আমি এই সহজ সত্যি কথাটা সবাইকে জানাতে চাই। অনেক কথা ও আলোচনার পর আমরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। তবে তা নিতে হয়েছে।”

কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে খবর, ট্রুডো দম্পতি আইনি নথিতে সই করে আলাদা হয়েছেন। এবার সন্তানদের বড় করে তোলার দিকে মন দেবেন তাঁরা। বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও আগামী সপ্তাহের নিয়ম মেনে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে যাবেন জাস্টিন ও সোফি।

অন্যদিকে সোফি জানিয়েছেন, সংসার ভেঙে যাওয়ায় অটোয়ায় একটি পৃথক আবাসনে থাকবেন তিনি। তবে প্রধানমন্ত্রী বাসভবন রিডো কটেজে অবাধ যাতায়াত থাকবে তাঁর। সেখানেই সন্তানদের সঙ্গে প্রচুর সময় কাটানোর পরিকল্পনা রয়েছে সোফির। আদালতের তরফে সন্তানদের বড় করার দায়িত্ব দু’জনকেই দেওয়া হয়েছে।

২০০৩-এ প্রথমবার জাস্টিনের সঙ্গে দেখা করেন সোফি। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রী ছিলেন তিনি। পাশাপাশি সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করছিলেন সোফি। সেই সূত্রেই জাস্টিনের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। কিছুদিনের মধ্যেই ডেট করা শুরু করেন তাঁরা। এর দু’বছরের মাথায় জাস্টিন-সোফির বিয়ে হয়। প্রসঙ্গত, লিঙ্গ সমতা নিয়েও কিছুদিন কাজ করেন সোফি।

মাত্র ৪৩ বছর বয়সে ২০১৫-য় কানাডার প্রধানমন্ত্রী হন ট্রুডো। ওই সময় New York Post-র প্রতিবেদনে সোফিকে Hottest First Lady in World বলে উল্লেখ করেছিল। ভয়েজ ম্যাগাজিনেও এই দম্পতির ছবি প্রকাশিত হয়েছিল। ২০১৮-র ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরে আসেন এই দম্পতি।

আগস্ট ০৩, ২০২৩ at ১২:৩৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর