তোমরা আমাকে মেরে ফেলো প্রতিদিনই

ছবি- সংগৃহীত।

লিভারপুলে ৬ বছর দারুণ সময় কাটিয়ে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে পা রেখেছিলেন সাদিও মানে। সেনেগালিজ এই স্ট্রাইকার জানিয়েছিলেন, বাভারিয়ানদের হয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে চান তিনি। তবে, বায়ার্ন মিউনিখে সময়টা মোটেই ভালো যায়নি তার। বায়ার্নে বাজে ফর্মের কারণে সাংবাদিকদের কড়া সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে।

সাংবাদিকদের এমন ব্যবহার ভালোভাবে নেননি মানে। প্রাক মৌসুম চলাকালে এক সাংবাদিক তার সাথে কথা বলতে চাইলে মানে সরাসরিই বলেছেন, ‘তোমরা প্রতিদিনই আমাকে মেরে ফেলো। আর এখন চাইছো তোমাদের সাথে কথা বলি? কিভাবে হয়!’

আরো পড়ুন :

> ঝালকাঠি বাস দূর্ঘটনায় চালকসহ তিন জনের নামে মামলা
> মোশাররফ করিম এবার হুগলির ডন ‘হুব্বা’

অবশ্য মাঠের বাইরের এমন আচরণ ছাড়াও সারাবছর বিতর্কের মুখেই ছিলেন সাদিও মানে। মাঠের পারফর্ম যেমন আশানুরূপ ছিল না, তেমনি সতীর্থদের সাথে হাতাহাতিও করেছেন। ব্যর্থ হয়েছে সমর্থক এবং ক্লাব কর্তাদের প্রত্যাশা। ৩৮ ম্যাচে করেছেন করেছেন কেবল ১২ গোল।

গুঞ্জন আছে, এতসব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে এবার দলই ছাড়তে চলেছেন সাদিও মানে। সৌদি প্রো লিগে ক্রিশ্চিয়ান রোনালদোর আল-নাসরে যোগ দেয়া তার জন্য সময়ের ব্যাপার বলছেন অনেকেই।

গত মৌসুম শেষে তিন বছরের চুক্তিতে লিভারপুল ছেড়ে বায়ার্নে পাড়ি দিয়েছিলেন মানে। বুন্দেসলিগায় নিজের অভিষেক ম্যাচে গোলও পেয়েছিলেন এই ফুটবলার। তবে বিশ্বকাপের ঠিক ১৩ দিন আগে বুন্দেসলিগায় ভেরডার ব্রেমেনের বিপক্ষে চোট পান মানে। এক চোটের কারণেই বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যায় মানের। বায়ার্নের হয়েও ৯টি ম্যাচ মিস করেন মানে।

পরে জার্মান ফরোয়ার্ড লিরয় সানেকে ঘুষি মেরে ঠোঁট ফাটানোর ঘটনায় তাকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল বায়ার্ন কর্তৃপক্ষ। এসবের প্রভাব পড়ে তার দামেও। এক বছরে তার দাম ৪৫ মিলিয়ন ইউরো কমে এসেছে।

জুলাই ২৪, ২০২৩ at ১৩:২৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর