পাইকগাছা-তালা সিমান্তে বনায়ন দখল ও কর্তৃত্ব নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি

পাইকগাছা-তালা সিমান্তে কপোতাক্ষ নদের পাড়ে সামাজিক বনায়ন বিরোধ নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে। স্থানীয়দের আশংঙ্কা যে কোন মুহুর্তে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটতে পারে।

জানাগেছে, দীর্ঘদিনের এ বিরোধ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কপোতাক্ষ নদের পাড়ে ৬ কি. মি. বনায়নের বাবলা গাছের ডাল-পালা কর্তন নিয়ে পাইকগাছার রাড়ুলী ইউপির কাঠিপাড়ার আবুল হোসেন- আজগর আলী পক্ষ ও তালা উপজেলার মুড়াগাছার নুরল মীরের ছেলে সুন্দর আলী মীর পরিবারের মধ্যে এ সংঘর্ষ বাঁধতে পারে। বনায়নের কর্তৃত্ব ও দখল নিয়ে দু’পক্ষই শক্তি সঞ্চয় করছে এমন আভাষ পাওয়া গেছে।

আরো পড়ুন :

> সাভারে থানা ও সরকারি হাসপাতাল সংলগ্ন বাড়িতে চুরি
> শরণখোলায় মায়ের সাথে অভিমান করে যুবকের আত্মহত্যা

রাড়ুলীর মালোপাড়া হতে কাঠিপাড়া শালিখা পর্যন্ত এ বনায়নে বাঁবলা গাছ, নিম গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। এ নিয়ে থানা পুলিশ, ইউনিয়ন পরিষদে বসাবসি এমনকি পাইকগাছার নির্বাহী কোর্ট হতে একে অপরের পক্ষে রায় আছে বলে বিবাদমান দু’পক্ষই দাবি করেছেন। শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে কাঠিপাড়ার আবুল হেসেন- আজগর পক্ষ দাবি করেন কপোতাক্ষ নদের পাড়ে সরকারী জমির বনায়নে আদালতের অনমতি, রাড়ুলী ইউপি চেয়ারম্যান ও পাইকগাছা উপজেলা বন কর্মকর্তা সরেজমিনে এসে নীতিমালা অনুযায়ী আমাদের গাছের ডাল-পালা কাটার অনুমতি দিলে তা বাস্তবায়ন করছি।

অন্যদিকে তালা মুড়াগাছার সুন্দর আলী ও তার পরিবার দাবি করেন আমাদের রেকডিয় জমির উপর সামাজিক বনায়নের মেয়াদ রয়েছে আগামী হংরেজী ২০৩০ সাল পর্যন্ত। বৈধ কাগজপত্র থাকা স্বত্বেও প্রতিপক্ষ কাঠিপাড়ার আবুল হোসেন-আজগর গংরা পেশি শক্তি বলে গাছ-পালা কেটে নিচ্ছে। সুন্দর আলী আরোও জানান, থানায় অভিযোগ করা হলে রাড়ুলী ক্যাম্প পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন তখন গাছ কাটা বন্ধ করেন। আবার পুলিশ চলে আসলে আবারও ওরা গাছ-পালা কেটে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে রাড়ুলী ক্যাম্প পুলিশের আইসি এসআই ইমরান হোসেন জানান, বনায়ন নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধ দীর্ঘদিনের। আমি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঘটনাস্থলে পৌছে গাছ-পালা কর্তন বন্ধ করে দিয়েছি। তবে স্থানীয়দের আশংকা বনায়নের দখল নিয়ে যে কোন মুহুর্তে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে।

জুলাই ০৮, ২০২৩ at ১৬:৪৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর