শরণখোলায় মায়ের সাথে অভিমান করে যুবকের আত্মহত্যা

মায়ের কাছে মটরসাইকেলের বায়না ধরে তা না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে নাইম হাওলাদার নামে ২০ বছরের এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে ৮ জুলাই রাতে শরণখোলা উপজেলার সাউখালী ইউনিয়নের তাফালবাড়ী বাজারের ভাড়াটিয়া বাসায়। নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে শরণখোলা থানা পুলিশ।

থানা পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ তাফালবাড়ী গ্রামের প্রবাসী খলিলুর রহমান হাওলাদারের পুত্র মো. নাইম হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে একটি মটরসাইকেলের বায়না ধরে মায়ের কাছে। কিন্তু তার মা আসমা বেগম বলেন তুইতো বিদেশে চলে যাবি তোর মটরসাইকেলের দরকার কি? একথা শুনে নাইম ৬ জুন রাতে ১০/১২ টি ঘুমের ট্যবলেট সেবন করে। এতে অসুস্থ হয়ে পরলে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে যায়।

আরো পড়ুন :

> সাভারে থানা ও সরকারি হাসপাতাল সংলগ্ন বাড়িতে চুরি
> সাভারে থানা ও সরকারি হাসপাতাল সংলগ্ন বাড়িতে চুরি

গত ৭ জুলাই আবারও মটরসাইকেল বায়না ধরে মায়ের সাথে কান্না করে। কিন্তু তাতে মায়ের মন গলাতে পারেনি, অবশেষে ৮ জুলাই রাতে ঘরের সবাই ঘুমিয়ে পরলে তাফালবাড়ি বাজারস্থ সিদ্দিক হাওলাদারের ভাড়া বাসায় ঘরের আড়ার সাথে গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। নাইমের মা ফজরের আজান শুনে ঘুম ভাঙ্গলে ছেলেকে আড়ার সাথে ঝুলতে দেখে হাউমাউ চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে। নাইমের মামা তাফালবাড়ী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ আঃ রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আমার ভাগিনা মটরসাইকেল না পেয়ে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। নাইমের মা আসমা বেগম বলেন, তার বাবা কাতারে কর্মরত আছেন। ইতিমধ্যে নাইমকে ওই দেশে পাঠানোর জন্য তার পাসপোর্ট করা হয়েছে। তাই তাকে মটর সাইকেল কিনে দেয়া হয়নি। কিন্তু সে অভিমান করে আত্মহত্যা করবে তা বুঝতে পারিনি।

এব্যপারে শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সুব্রত কুমার সরকার বলেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের লাশ উদ্ধার করে শরণখোলা থানায় আনা হয়েছে। এঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৃত্যুর রহস্য জানতে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

জুলাই ০৮, ২০২৩ at ১৬:২৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর