বারহাট্টায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তা সংষ্কারের অভিযোগ

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলাধীন বাউসী ইউনিয়নের  রামভদ্রপুর থেকে বরইতলা বাজার পর্যন্ত এক কিলোমিটার (৩৮০ মিটার) রাস্তা সংস্কারে নিম্ন মানের ইটের খোয়া, পুরাতন ইট ব্যবহার করে রাতের আঁধারে রাস্তার কাজ করাসহ রাস্তা সংস্কারে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এ অভিযোগের বিষয়ে নিরব ভুমিকায় রয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, আমাদের চলাচলের একমাত্র এ রাস্তাটি সংস্কারে ঠিকাদার তার মন মতো করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তার নির্দেশেই পুরাতন ইট ও খোয়া এই রাস্তায় ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি নতুন ইটগুলোও মানসম্মত নয়, খুবই নিম্ন মানের। তারা নিয়ম ভেঙ্গে রাতের আঁধারে এলাকাবাসীর অগোচরে এই রাস্তার কাজ করে। এলাকাবাসী বাধা দিলেও কারো কথা শুনেন না তারা।

আরো পড়ুন :
> তালায় অস্ত্র ও সাত রাউন্ড গুলিসহ যুবক আটক
> দ্রুতই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন হবে : আইনমন্ত্রী

শেখেরপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটা সংস্কারে যত প্রকারের অনিয়ম এবং দুর্নীতি করা সম্ভব তার সবটুকুই করছেন ঠিকাদার। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে জেনেও কিছু বলছে না। 

আথানগর গ্রামের অপূর্ব গুপ্ত বলেন, ঠিকাদার সড়কটি খুড়ে পুরাতন খোয়া ও নষ্ট ইট বের করে সেগুলোকে আবার সংস্কার কাজে ব্যবহার করাচ্ছেন। নতুন যে, ইটগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোও নিম্ন মানের। সবার অজান্তে নিরবে রাতের আধারে এই রাস্তার কাজ চলে। দিনের বেলায় দেখলে রাস্তার চেহারা একরকম আবার সকালে উঠে দেখলে রাস্তার চেহারাই পাল্টে অন্যরকম হয় যায়। তারা রাতের বেলায় কাজ করে যেন, এসব অনিয়ম মানুষ দেখতে না পারে এবং কোন প্রতিবাদ করতে না পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি।

বারহাট্টা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রামভদ্রপুর থেকে বরইতলা থেকে পর্যন্ত ১৩৮০ মিটার রাস্তাটি সংস্কারে বরাদ্দ (৬০ লক্ষ) টাকা। এ কাজের ঠিকাদার রুবেল মিয়া  এ বিষয়ে ঠিকাদার রুবেল মিয়ার কাছে জানতে একাধিকবার তার মোবাইল নম্বরে ফোন দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

পরে এ কাজের সাব-ঠিকাদার স্থানীয় রমজান মিয়া বলেন, নিয়মানুযায়ী পুরাতন ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে নতুন ইট এতো ভাল মানের পাওয়া যায় না। তবে যতটুকু সম্ভব ভাল মানের ইট দেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকি আছে তাই অনিয়ম করার সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে বারহাট্টা এলজিইডির প্রকৌশলী অমিত দে চন্দ্র দে বলেন, পুরাতন ইট ও খোয়া ব্যবহার করতে দোষ নেই। এগুলো তারা আমাদের কাছ থেকে কিনে নিয়েছে। তবে নতুন যে নিম্ন মানের ইটগুলো ছিল সেগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।

জুন ১৯, ২০২৩ at ২২:১০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/রিকাগু/ইর