ঘুরতে আসা দম্পতি বখাটেদের হয়রানির শিকার, ৩ বখাটে আটক

নেত্রকোনায় নবনির্মিত শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসা এক দম্পতিকে ভিডিও ধারণ এবং ছবি তুলে বখাটেরা হয়রানি ও হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের ঘটনায় ৩ বখাটেকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ (১৮ জুন) রবিবার সকালে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে শনিবার বিকালে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বালুর মাঠ থেকে তাদের আটক করা হয়।

আরো পড়ুন :

> রাজশাহীতে বৃষ্টিতে গোসল করতে গিয়ে বজ্রপাতে শিক্ষার্থী নিহত
> রাসিক নির্বাচনে নগরবাসীর নজরকাড়ছে বিশাল নৌকা

আটকৃত তিনজন হল- নেত্রকোনা শহরের রাজুর বাজার এলাকার মো. মঞ্জু মিয়ার ছেলে মো. রনি মিয়া (১৯), মো. আজিম মিয়ার ছেলে মো. সিমন মিয়া (২০) ও মো. জীবন মিয়া (২১) তারা সবাই একই এলাকার।

প্রত্যক্ষদর্শী  ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নবনির্মিত শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বালুর মাঠে ছোট-বড় সবাই বিকালবেলা ঘুরতে আসেন। তেমনি গত শনিবার বিকেলে এক দম্পতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বালুর মাঠে ঘুরতে গেলে দুই যুবক দূর থেকে তাদের ভিডিও ধারণ করে ও ছবি তুলে। পরে তারা দম্পতিকে তাদের ধারণা করা ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে। তবে ওই দম্পতি ভিডিও’র বিষয়ে পাত্তা না দেওয়ায় তাদের নানাভাবে হয়রানি করা শুরু করে।

তাদের পাত্তা না দেওয়ায় শেষ চেষ্টা হিসাবে তাদের আটকে রেখে হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করা হয়। এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী একজন বিষয়টি পুলিশকে জানায়।

খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই যুবককে আটক করে। দুই যুবককে আটকের দৃশ্য দেখে অপর একজন বড় ভাই পরিচয়ে পুলিশের হাত থেকে ছাড়াতে এসে ওই দম্পতিকে গালাগাল করে ও হুমকি দেয়। উশৃংখল আচরণ করে তাদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টার করে। পরে পুলিশ তাকেও আটক করে। ওই দিন রাতেই ভুক্তভোগী দম্পতি বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে।

প্রত্যক্ষদর্শী সাকিব হাসান জানায়, ওই দম্পতিকে দূর থেকে ভিডিও ধারন ও ছবি তুলে বখাটেরা হয়রানি করে। এরা একটি প্রতারক চক্র। এরা কয়কটি গ্রুপে ভাগ হয়ে আশপাশে অবস্থান নিয়ে থাকে।

একটি গ্রুপকে কেউ প্রতিহত করতে চাইলে তাদের সহায়তায় পাশে থাকা অন্যরা ছুটে আসে। প্রতিদিন অসংখ্য কাপল (Couple) এখানে শঘরতে এসে এসব প্রতারকদের হাতে লাঞ্চিত হয়। টাকা পয়সা দিয়ে তাদের হাত থেকে ছাড়া পেতে হয়। বালুর মাঠে এখন অনেকেই ঘুরতে যেতে ভয় পায়।

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, খোলামেলা পরিবেশ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বালুর মাঠে বিকেলে অনেকে ঘুরতে যায়। অনেক কাপলও ঘুরতে যায়। সেখানে একটি চক্র তাদের হয়রানি ও ব্ল্যাকমেইল করে টাকায় আদায় করে। এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। দূর থেকে কাপলদের ভিডিও ধারণ করে তাদের হয়রানি ও লাঞ্চিত করে টাকা হাতিয়ে নেয়। বালু মাঠে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হবে।

জুন ১৮, ২০২৩ at ২১:১৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/রিকাগু/ইর