টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ কাঠের নৌকা উদ্ধার

বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযানিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। এরই টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে ১,৫০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০১টি কাঠের নৌকা জব্দ করা হয়েছে।
অদ্য ১ জুন, রাতে গোপন তথ্যেে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ আশিকানি নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।

আরো পড়ুন :
> পাবনার সাদুল্লাপুরে ব্রীজ ও মাদ্রাসার চারতলা ভবন উদ্বোধন করলেন এমপি প্রিন্স
> ভূরুঙ্গামারীতে ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলন এর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

উক্ত তথ্যে অধিনায়কের নেতৃত্বে সাবরাং বিওপি হতে বিজিবি’র একটি টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কেওড়া বাগানের আড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক রাত ৩টায় টহলদল ০৪ জন ব্যক্তিকে একটি কাঠের নৌকাযোগে সীমান্তের শূন্যলাইন হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাফ নদীর কিনারায় আসতে দেখে।

নৌকার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বিজিবি টহলদল নৌকাটিকে চ্যালেঞ্জ করলে নৌকায় আরোহিত ব্যক্তিরা বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকা হতে লাফিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দ্রুত পার্শ্ববর্তী কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায়।

 টহলদল উল্লেখিত স্থানে পোঁছে তল্লাশী অভিযানে একটি কাঠের নৌকার ভিতর হতে ৩টি পোটলা উদ্ধার করে তার ভেতর থেকে ১,৫০,০০০ (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়। অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে কাঠের নৌকাটিও জব্দ করা হয়।
অভিযানে মাদক কারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি বিধায় তাদেরকে সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে তাদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বার্তা প্রেরক,অধিনায়ক, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) লেঃ কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ, বিজিবিএমএস।

জুন ১২, ২০২৩ at ১৯:৫৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর